হতাশার বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা। সাকিব আল হাসান ঢাকা এসেছিলেন গতকালই। দেড় মাসের দীর্ঘ সফর শেষে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ছাড়া আজ এসেছেন অন্যরা। এই দুজন ফিরবেন আগামীকাল।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ বললেন, ‘‘ভালোর তো শেষ নেই। হ্যাঁ, আরও অনেক ভালো হতে পারত। বিশেষ করে শেষ ম্যাচটা, আমরা সবাই একটু হতাশ হয়েছি।
‘‘আমরা জেতার চেষ্টা করেছি ১২ ওভারের মধ্যে। যখন বুঝতে পারলাম ১২ ওভারের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না, তখন স্বাভাবিকভাবে খেলার চেষ্টা করেছিল সবাই। তাও জিততে পারিনি।’’
এবারের বিশ্বকাপে প্রথমবার তিন জয় পেলেও সন্তুষ্ট নন তাসকিন, ‘‘আমরা তো মাইনাসেই আছি। প্লাস করতে হবে। প্রথমবার আমরা সুপার এইট খেললাম, পজিটিভ দিক আছে, আবার নেগেটিভ দিকও আছে। নেতিবাচক দিকটাই বেশি। সর্বপ্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আমরা তিনটা জয় পেয়েছি। মানে পজেটিভ আছে।
‘‘কিন্তু নেগেটিভের সংখ্যাটা একটু বেশি। সবার মতো আমরাও জানি, প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো হয়নি।’’
বোলররা অসাধারণ ছিলেন বিশ্বকাপজুড়ে। তবে ভুগিয়েছেন ব্যাটাররা। নিজের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ব্যাটারদের এমন লম্বা সময়ের ব্যর্থতা স্মরণ করতে পারলেন না তাসকিন, ‘‘বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রে যখন খেলা হয়েছে, তখন উইকেট ব্যাটারদের পক্ষে কম ছিল। আপনারা যদি পরিসংখ্যান দেখেন, অন্য দেশের বড় বড় ব্যাটারদেরও সেখানে ধুঁকতে হয়েছে। সেখানে বোলারদের একটু বাড়তি সুবিধা ছিল।
‘‘কিন্তু আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ক্রিকেট খেলার সময়, গত ১০ বছর ধরে খেলছি, কখনও এত লম্বা ব্যাডপ্যাচ দেখিনি। আশা করি এটা কাটিয়ে উঠবে।’’
বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসান। এ নিয়ে তাসকিন জানালেন, ‘‘দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক।’’