২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে তাসকিন আহমেদের কান্না ছুঁয়ে গিয়েছিল সবাইকে। ইনজুরি জন্য খেলা হয়নি সেই বিশ্বকাপ। গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেললেও পুরো ফিট ছিলেন না এই পেসার। চোটের জন্য খেলতে পারেননি সব ম্যাচও।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল ঘোষণার ঠিক আগে আরও একবার শঙ্কা তাসকিনকে নিয়ে। সাইড স্ট্রেইন ইনজুরিতে পড়েছেন তাসকিন। এরকম চোট থেকে সেরে উঠতে ৩-৪ সপ্তাহ সময় লাগে। তার স্ক্যান ও অন্যান্য রিপোর্ট পাওয়ার পরই মঙ্গলবার দুপুর ১২.৩০ মিনিটে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করবে বিসিবি। লুকোচুরি না করে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে দল ঘোষণার সময় জানিয়ে দিয়েছে বিসিবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে চোটমুক্ত রাখতে তাসকিনকে আইপিএল খেলতে দেয়নি বিসিবি। তবে বিপিএলে খেলার পর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে টানা খেলেছেন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে। তীব্র তাপদাহের মধ্যে আবাহনীর হয়ে ডিপিএলেও খেলে গেছেন তাসকিন।
এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের চারটিতে খেলানো হয়েছে তাকে। অথচ এই সিরিজে শেষ দুই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল আরেক পেসার শরিফুল ইসলামকে। অতিরিক্ত ক্রিকেটের এই চাপেই কি ইনজুরি প্রবণ তাসকিন আবারও পড়লেন ইনজুরিতে?
এ ধরনের ইনজুরি সারতে ৩-৪ সপ্তাহ লাগে বলে তাসকিনকে নিয়েই বিশ্বকাপের বিমানে উঠবে বাংলাদেশ। বিসিবির একটি সূত্রে জানা গেছে এটা। তাকে বিশ্রাম দেওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে। সেখানে চিকিৎসা চলবে এই পেসারের। তার জায়গায় যুক্তরাষ্ট্র সিরিজের জন্য ভাবনায় আছে হাসান মাহমুদ।
২৫ মে পর্যন্ত বিশ্বকাপ দলে পরিবর্তন আনা যাবে ইচ্ছেমত। তাই বিশ্বকাপের আগে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাসকিনের জন্য অপেক্ষা করবে বাংলাদেশ।
প্রশ্ন হচ্ছে শেষ পর্যন্ত তাসকিন খেলতে পারবেন তো বিশ্বকাপে? জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ সেরার পুরস্কার হাতে তাসকিন নিজেই বলেছিলেন, ‘‘রিপোর্টটা এখনও পুরোপুরি আসেনি। এরপর বোঝা যাবে। একটু তো ব্যথা আছে। পুরো রিপোর্টটা এলে বোঝা যাবে আসলে কী অবস্থায় আছে। এখনও কিছু বলা যাচ্ছে না, ফিফটি ফিফটি (বিশ্বকাপে খেলা হবে কিনা)। সবকিছুর জন্যই আলহামদুলিল্লাহ। আমি অনেক ভাগ্যবান আলহামদুলিল্লাহ।’’