সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মূল মাঠের তিনটি নেটে ব্যাট করছিলেন তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাসরা। স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যাট চালাতে পারছিলেন না কেউ। স্থানীয় মিডিয়াম পেসের নেট বোলারদেরই বলগুলো মনে হচ্ছিল শোয়েব আখতার-শন টেইটদের একেকটি গোলা!
এর কারণ অসম বাউন্সের উইকেট। কোনটা লাফাচ্ছিল বেশি, কোনটা আবার যাচ্ছিল হাঁটুর নীচ দিয়ে। এবারের বিপিএলে দ্বিতীয় সেরা রান করা তাওহিদ হৃদয়ও ব্যাটে বল লাগাতে পারছিলেন না ঠিকঠাক।
হৃদয়কে হাঁসফাঁস করতে দেখে পাশের নেট থেকে মাহমুদউল্লাহ বার দুয়েক বলে উঠলেন, ‘‘কোন কথা হবে না।’’ কিছুক্ষণ পর জোড়েই বললেন, ‘‘বল ফালাইতে দিবি না হৃদয়। কোনো কথা হবে না। মাইর, মাইর।’’
টাইমিং না হলেও মাহমুদউল্লাহ, লিটন দাসদের কয়েকটা শট গেল বড় পর্দার ওপারে। ম্যাচে এমন শট ব্যাটে লাগলে নিশ্চিত ছক্কা। নতুন ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্প প্রায় সময়ই এগিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যাটারদের দিকে। বোঝাচ্ছিলেন ‘মাইর’ দিতে হবে কীভাবে?
হাজার হোক টি-টোয়েন্টি তো চার-ছক্কারই খেলা। লঙ্কান দলে একাধিক অলরাউন্ডার থাকায় তারা শক্ত প্রতিপক্ষ নিঃসন্দেহে। তাদের কাল (সোমবার) তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে হারাতে দরকার ‘বেদম মাইর’।