Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৭ মে, ২০২৫

নতুন বাজেটে করের বোঝা বাড়বে না : এনবিআর চেয়ারম্যান

এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ছবি : এনবিআর
এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সংস্থার চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান। ছবি : এনবিআর
[publishpress_authors_box]

২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেটে করের বোঝা বাড়বে না, বরং করের বোঝা কমানোর চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

বুধবার এনবিআরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে কর ব্যবস্থায় সুশাসন নিশ্চিত করে রাজস্ব আহরণ বাড়াতে চাওয়ার কথাও জানান তিনি।

রাজধানী ঢাকার আগারগাঁয়ে এনবিআর ভবন সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনায় অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশ (এমটব), বাংলাদেশ বিড়ি শিল্প মালিক সমিতি, ব্রিটিশ আরেমিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ, স্থানীয় সিগারেট উৎপাদন সমিতি, ওষুধ শিল্প সমিতি, রাবার ও প্লাস্টিক খাতের ব্যবসায়ী নেতারা অংশ নেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “এবার করের বোঝা বাড়ানো হবে না, পারলে কমানোর চেষ্টা করা হবে। এটা আমাদের এবারের বাজেটের মূলনীতি।”

সবার জন্য একক ভ্যাট হার নির্ধারণে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, “এফবিসিসিআইসহ সব খাতের ব্যবসায়ীরা রাজি হয়ে দাবি জানালে একক ভ্যাট হার নির্ধারণ করা হতে পারে।”

কর আদায়ের ভারসাম্য বজায় রেখে ব্যবসা-বাণিজ্য সহজ করা চ্যালেঞ্জিং কাজ বলে এসময় মন্তব্য করেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় ওষুধ শিল্প সমিতির প্রতিনিধিরা ওষুধের কাঁচামাল খালাসের সময় চট্টগ্রাম কাস্টমসের কিছু কর্তকর্তার বিরুদ্ধে নানারকম অসহযোগিতার অভিযোগ করেন।

তাৎক্ষণিকভাবে এনবিআর চেয়ারম্যান সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চট্টগ্রামের বন্দরের ওই কর্মকর্তাদের সতর্ক করার নির্দেশ দেন।

একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদের অসদুপায় অবলম্বন না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “যদি আপনি সঠিকভাবে কর সম্মতি বজায় না রাখেন, তাহলে আপনিও বড় সমস্যায় পড়বেন।”

বিড়ি উৎপাদনকারীদের একটি অংশের জাল ব্যান্ড-রোল ব্যবহারের প্রসঙ্গ টেনে আবদুর রহমান খান বলেন, সম্প্রতি মানিকগঞ্জে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার জাল ব্যান্ড-রোল উদ্ধার করা হয়েছে।

“আপনি কেন এটা করছেন, বিড়ির ওপর কর তুলনামূলকভাবে কম, ৫৬ শতাংশ। আর সিগারেটের ওপর ৮২ শতাংশ। রাজস্ব ফাঁকির জন্য আপনাকে বড় মূল্য দিতে হবে”, সতর্ক করে বলেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “বিড়ি কারখানার মালিকরা যদি তাদের কর ফাঁকির প্রবণতা ত্যাগ করতে ব্যর্থ হন তবে কঠোর আইন প্রণয়ন ছাড়া এনবিআরের কাছে আর কোনও বিকল্প থাকবে না।”

ব্যান্ড-রোল জালিয়াতির বিরুদ্ধে এনবিআর কঠোর- জানিয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান বলেন, “ভবিষ্যতে যদি আমরা এক টুকরো জাল ব্যান্ড-রোল পাই তবে কঠোর ব্যবস্থা নেব। প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়ন করব।”

অনুষ্ঠানে কাস্টমস কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “ওভার ইনভয়েসিং (পণ্যের অতিরিক্ত দাম দেখানো) হচ্ছে কি না- তা ভালো করে দেখতে হবে। কারণ আন্ডার ইনভয়েসিং (পণ্যের কম দাম দেখানো) হলে সরকার হয়তো কিছুটা কম রাজস্ব পাবে। কিন্তু পণ্য দেশে আসবে। আর যদি ওভার ইনভয়েসিং হয় তাহলে ওই টাকা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাবে। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।” 

এসময় তিনি ভ্যাট কর্মকর্তাদের সম্পূরক শুল্ক আরোপ না করে আরও বিস্তৃতভাবে ভ্যাট আদায়ের মানসিকতা তৈরিরও নির্দেশ দেন।

ভ্যাট আদায় পরিস্থিতি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “আয়কর এবং ভ্যাট থেকে আমাদের যে পরিমাণ পাওয়ার কথা ছিল, আমরা সেই পরিমাণের কাছাকাছিও নেই।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত