Beta
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

বাজেটে ঋণের ওপর কর অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে : এনবিআর চেয়ারম্যান

erf
[publishpress_authors_box]

আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের বাজেটে ব্যক্তি পর্যায়ের ব্যাংক ঋণের ওপর কর অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

সোমবার অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের সংগঠন ইআরএফের সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় এ তথ্য জানান তিনি।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ প্রাক-বাজেট আলোচনায় ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালার নেতৃত্বে সংগঠনটির বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য অংশ নেন। আলোচনায় এনবিআর আয়কর নীতি সদস্য একে এম বদিউল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা অংশ নেন।

সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “আমাদের দেশে এতো বেশি কর ফাঁকি হয় যে ব্যাংকের লেনদেনও কর বসাতে হয়েছে। তাই এই খাতে এখন থেকে আমরা কর অব্যাহতির দিকে হাত দিতে চাই। তবে পুরোটা এক সাথে তুলে দেওয়া যাবে না। তবে একটা বার্তা যাবে। কিন্তু এবার আমরা বেশ কয়েকটা রিলিফ (অব্যাহতি) দেব। যেমন- ব্যাংক ঋণের ওপরে যেন (করারোপ) না হয়।”

করযোগ্য নাগরিকদের কর ফাঁকি দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এবার ১৪ লাখের বেশি নাগরিক অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছে। এরমধ্যে প্রায় ১০ লাখই ৩ লাখ টাকার কম আয় দেখিয়েছে।”

অনুষ্ঠানে ইআরএফ সভাপতি আগামী অর্থ বছরের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, শিক্ষা ও চিকিৎসা উপকরণে করহার ৫ শতাংশে সীমিত রাখাসহ বেশ কিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন।

ইআরএফ সভাপতি করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করা, প্রভিডেন্ট ফান্ডকে করমুক্ত রাখা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বিকাশে পৃথক রাজস্ব নীতি প্রণয়ন এবং এসএমইর জন্য বন্ড সুবিধার প্রস্তাব করেন।

আগামী বাজেটে তামাকের ওপর কর বাড়িয়ে কর আদায় থেকে স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোর এবং ব্যক্তি পর্যায়ে করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার ৩৫ শতাংশ করারও প্রস্তাব দেন তিনি। গণমাধ্যমের করহার কমিয়ে গণমাধ্যমবান্ধব কর প্রবর্তনের প্রস্তাবও দেন ইআরএফ সভাপতি।

তিনি বলেন, করছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা ও জবাবদিহি থাকতে হবে। প্রতি করছাড়ের আদেশের সঙ্গে কত রাজস্ব ক্ষতি হলো তার একটা প্রাক্কলন দেওয়া যেতে পারে কি না চিন্তা করতে পারে এনবিআর।

ইআরএফ সভাপতি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের আমদানি শুল্ক ব্যবস্থায় কাঠামোগত পরিবর্তন করে ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশের শুল্ক এখনও এলডিসিগুলোর গড় ট্যারিফের চেয়ে বেশি। গত কয়েক বছর ধরে ট্যারিফ রেট কমিয়ে আনার কথা বলা হলেও তাতে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ভর্তুকি কমানোর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক নগদ সহায়তা কমানোর কার্যক্রম শুরু করেছে। এনবিআরেরও বিভিন্ন ধরনের শুল্ক কমানোর কাজ নতুন বাজেট থেকেই শুরু করা উচিত। অন্যথায় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) করতে গেলে হঠাৎ করে শুল্ক কমিয়ে আনার ধাক্কা সামলানো কঠিন হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত