পুরান ঢাকার সূত্রাপুর মৌজায় খাজনা বা ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়া বন্ধ আছে ২০১১ সাল থেকে। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে এই অঞ্চলের ৩০ লাখেরও বেশি মানুষকে।
এই ভোগান্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে মঙ্গলবার প্রেসক্লাবে সূত্রাপুর মৌজায় অবিলম্বে খাজনা চালুর দাবি জানিয়েছে পুরান ঢাকা নাগরিক কমিটি।
২০১১ সালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধিশাখা-৮ পরিপত্র দিয়ে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর মৌজায় খাজনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই পরিপত্রটি ‘অবৈধ’ উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহার করতে বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে কমিটি।
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সূত্রাপুর, গেণ্ডারিয়া, ওয়ারী, শ্যামপুর, কোতয়ালী থানা এলাকায় ৩০ লাখের বেশি মানুষের বাস। খাজনা দিতে না পারায় এখানে জমি হস্তান্তর, কেনা-বেচা ও রেজিস্ট্রি করাও সম্ভব হচ্ছে না। এমনকি বাবা-মার মৃত্যুর পর ওয়ারিশরা বাড়ি ভাগাভাগি ও হেবা রেজিস্ট্রিও করতে পারছেন না।
একই কারণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) কোনও প্লান পাশ করছে না। এতে করে নিজের জমিতে ভবন নির্মাণ করতে বা প্রয়োজনে ব্যাংক ঋণও পাওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে ভূমির নামজারী না করা এবং ভূমি উন্নয়ন কর না নেওয়ায় সরকারও প্রতি বছর শত শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পুরান ঢাকা নাগরিক কমিটির অভিযোগ, বিগত সরকারের আমলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা তাদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সূত্রাপুর মৌজায় খাজনা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সেখানে ৫৪৮ তৌজির ৩০ লাখেরও বেশি মানুষের সম্পত্তিকে অবৈধ খাসমহল ও মিথ্যা লিজের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অথচ এই অঞ্চলের মানুষ ২০১১ সালের আগ পর্যন্ত ভূমির খাজনা পরিশোধ করে এসেছে।