Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

যক্ষ্মায় আক্রান্ত : এখনও ২১ শতাংশ শনাক্তের বাইরে

ss-tb-11-6-24
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

দেশে এখনও যক্ষ্মায় আক্রান্তদের অনেকে চিকিৎসা পরামর্শ নেন না, তাই তাদের শনাক্ত করা যায় না। শনাক্তের বাইরে থাকা এই সংখ্যা ২০২৩ সালে ছিল ২১ শতাংশ। আর চিকিৎসার আওতায় এসেছে ৭৯ শতাংশ রোগী।

বাংলাদেশে যক্ষ্মা নির্মূল কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে মঙ্গলবার ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে ‘টু এন্ড টিবি: হোয়াট উই আর ডুইং ‍অ্যান্ড হোয়াট ক্যান বি ডান’ (যক্ষ্মা নির্মূলে আমরা কী করছি এবং আরও কী করা যেতে পারে) শীর্ষক এক পরামর্শসভায় এসব কথা উঠে আসে।

সেখানে বলা হয়, বিশ্বের শীর্ষ যক্ষ্মা আক্রান্ত ৩০ দেশের একটি বাংলাদেশ। ২০২৩ সালে, প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে আনুমানিক ২২১ জন এখনও শনাক্তকরণের বাইরে রয়েছেন, যা মোট সংখ্যার ২১ শতাংশ। তাদেরকে চিকিৎসার আওতায় আনা একটি চ্যালেঞ্জ। শনাক্ত হওয়া রোগীদের ৯৫ ভাগের চিকিৎসা যথাযথভাবে শেষ হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনটিপি), স্টপ টিবি পার্টনারশিপ, দ্য গ্লোবাল ফান্ড এবং ব্র্যাক এই পরামর্শসভার আয়োজন করে।

গ্লোবাল ফান্ডের বোর্ড সদস্য এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক ডা. লুসিকা ডিটিউ বলেন, যে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ এখনও শনাক্তকরণের বাইরে রয়ে গেছে, তাদের খুঁজে পাওয়া সবচেয়ে কঠিন। কিছু সীমাবদ্ধতা এবং দুর্বলতার কারণে তারা আড়ালে থেকে যায়।

এ তালিকায় রয়েছে স্বল্প আয়ের মানুষ, প্রত্যন্ত এলাকায় বসাবাসকারী মানুষ, যৌনকর্মী অথবা অভিবাসীরা। এ ছাড়া ধর্মীয় ও জাতিগত কারণেও অনেকে বাদ পড়ে। তাদের খুঁজে বের করতে জোড়ালো পদক্ষেপ নিতে হবে।

“তাদের জন্য চিকিৎসাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আরও স্মার্ট হতে হবে, প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ বাড়াতে হবে যা যক্ষ্মা ও অন্যান্য রোগ নির্মূলে সহায়ক হবে।”

দ্য গ্লোবাল ফান্ডের যক্ষ্মা বিভাগের প্রধান এলিউড ওয়ান্ডওয়ালোর মতে, “বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এখন শুধু সক্ষমতা বা কৌশলের বিষয় নয়। সফলতা নিশ্চিত করতে সঠিক চিকিৎসা ও প্রযুক্তিগত বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে।”

ব্র্যাক স্বাস্থ্য কর্মসূচির (বিএইচপি) জ্যেষ্ঠ পরিচালক মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, “যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে গত দুই দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে তা নির্মূল করতে পাড়ি দিতে হবে দীর্ঘ পথ। এজন্য তহবিল নিশ্চিত করা জরুরি, সেটা সম্ভব হলেই আমরা যক্ষ্মার কবল থেকে প্রতিটি মানুষকে রক্ষা করতে পারব।”

আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন যক্ষ্মা আক্রান্ত ফারজানা আক্তার। পরীক্ষায় যখন যক্ষ্মা শনাক্ত হয় তখন চিন্তায় অস্থির হয়ে পড়েছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, “ব্র্যাকের স্বাস্থ্যকর্মীদের (কমিউনিটি হেলথ ওয়ার্কার) পরামর্শে ওষুধ খাওয়া শুরু করি। দুই মাস পর আবার কফ পরীক্ষা করে কোনও জীবাণু পাওয়া যায়নি।”

এখন তিন মাসের একটি ওষুধের কোর্স চলছে ফারজানার। তিনি বলেন, “বুঝতে পারছি, আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আমি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত