সাধারণ ভোক্তাদের কাছে ভর্তুকি মূল্যে তেল, ডাল ও চাল বিক্রি করবে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)।
বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা মহানগরের ৫০টি ও চট্টগ্রাম মহানগরের ২০টি স্থানে ট্রাকের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এতে ৪৭০ টাকায় পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি মসুর ডাল ও দুই লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যাবে। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ এই পরিমাণ পণ্য কিনতে পারবেন।
যেখানে প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। আর প্রতিকেজি চাল ৩০ টাকা ও মসুর ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হবে।
বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে টিসিবি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না এলে পরবর্তী সময় কার্যক্রমটি বাড়ানো হতে পারে।
এবার কার্ডধারীদের পাশাপাশি কার্ড ছাড়াও নির্ধারিত পয়েন্টে ট্রাকের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে টিসিবির ন্যায্যমূল্যের এসব পণ্য কিনতে পারবেন ভোক্তারা।
টিসিবি জানিয়েছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিন্ম আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মাঝে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রির পাশাপাশি সাধারণ ভোক্তার হাতেও ন্যায্যমূল্যের পণ্য পৌঁছে দিতেই এই কার্যক্রম।
আগে থেকেই দেশে এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের কাছে প্রতি মাসে কয়েকটি পণ্য বিক্রি করে আসছে টিসিবি। এতে একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার ভোজ্যতেল, পাঁচ কেজি চাল ও দুই কেজি মসুর ডাল কিনতে পারেন।
এর পাশাপাশি দেশের নিত্যপণ্যের উচ্চ দামের কথা বিবেচনায় নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের কাছেও খোলাবাজারে কৃষি পণ্যবিক্রিসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে সাধারণ ভোক্তাদের জন্য টিসিবির মাধ্যমে খোলাবাজারে (ট্রাকে করে) পণ্য বিক্রির নতুন উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে।
টিসিবি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়িতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এ সময় বাণিজ্যসচিব সেলিম উদ্দিন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তফা ইকবাল প্রমুখের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এছাড়া খোলাবাজারে বিক্রি বা ওএমএস পদ্ধতিতে চাল ও আটা বিক্রি করছে সরকারের খাদ্য অধিদপ্তর। এ ছাড়া সম্প্রতি ট্রাকে সাশ্রয়ী দামে পেঁয়াজ, ডিম ও আলুসহ কয়েকটি কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু করেছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।