Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪

৩৭ বছর বয়সী প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে থাইল্যান্ড 

শুক্রবার পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট।
শুক্রবার পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে থাইল্যান্ডের পার্লামেন্ট।
Picture of সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

সকাল সন্ধ্যা ডেস্ক

থাইল্যান্ডের শতকোটিপতি ও সাবেক নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করেছে দেশটির পার্লামেন্ট।

এর মধ্য দিয়ে ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন থাইল্যান্ডের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন। দেশটির ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী। তার ফুপু ইংলাক সিনাওয়াত্রা ছিলেন থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। 

বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে পদচ্যুত করে দেশটির সাংবিধানিক আদালত। একই সঙ্গে সেদিন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির মন্ত্রিসভা ভেঙে দেওয়া হয়।

ঠিক দুদিন পরই থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার সর্বকনিষ্ঠ মেয়ে পেতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।

স্রেথা থাভিসিন ও পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা দুজনেই থাইল্যান্ডের প্রধান রাজনৈতিক দল ফিউ থাইয়ের সদস্য। ২০২৩ সালের নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসন পেয়ে জোট সরকার গঠন করে থাভিসিনের নেতৃত্বে ফিউ থাই।

গত দুই দশকের বেশি সময়ে সিনাওয়াত্রা পরিবার থেকে তিনজন প্রধানমন্ত্রী পেয়েছে থাই জনগণ।

২০০১ সালে থাইল্যান্ডের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হন ফিউ থাইয়ের নেতা থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থান তাকে পদ হারাতে বাধ্য করে।   

এরপর ২০১১ সালে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা। থাইল্যান্ডের সদ্যবিদায়ী প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের মতো তাকেও ক্ষমতা থেকে সরায় দেশটির সাংবিধানিক আদালত।

বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রার সঙ্গে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।

থাইল্যান্ডে নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা কতটা সীমিত, তার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত থাকসিন সিনাওয়াত্রা, ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদচ্যুতি এবং থাভিসিন সরকার পতনের দুদিনের মাথায় তাদের উত্তরাধিকারী পেতংতার্নের নিয়োগ।

ক্ষমতা থেকে স্রেথা থাভিসিনের সরে যাওয়ার ঘটনাকে বৃহস্পতিবার ‘দুর্ভাগ্যজনক’ হিসেবে অভিহিত করেন তার স্থলাভিষিক্ত হতে যাওয়া পেতংতার্ন। প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে সেদিন তিনি দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন।

দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, “আমি স্রেথা থাভিসিনের কাজে মুগ্ধ ছিলাম।”

যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব সরি থেকে আন্তর্জাতিক হোটেল ব্যবস্থাপনায় এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন পেতংতার্ন। পারিবারিক প্রতিষ্ঠান রেন্ডে হোটেল গ্রুপে কয়েক বছর কাজও করেন। তার স্বামী পিতাকা সুকসাওয়াত ওই প্রতিষ্ঠানের উপপ্রধান বিনিয়োগ কর্মকর্তা।

২০২১ সালে ফিউ থাইয়ে যোগ দিয়ে দুই বছর পর দলনেতা হন পেতংতার্ন।

সূত্র: বিবিসি, টাইম  

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত