অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলার ক্লান্তি কাটতে না কাটতেই আরেকটি ম্যাচের প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। আগামী ১১ জুন লেবাননের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে জামাল ভূঁইয়ারা।
ওই ম্যাচ খেলতে শুক্রবার রাতে দোহায় পৌঁছেছেন ফুটবলাররা। ভ্রমণ ক্লান্তি কাটিয়ে শনিবার সকালে হালকা জিম সেশন করেছেন। বিকেলে হয়েছে আরেক দফা অনুশীলন। ম্যাচের বাকি এখনও ৩ দিন। এই কদিনে কাতারের গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই আসল চ্যালেঞ্জ ফুটবলারদের।
ঢাকায় ৬ জুন অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় ওই ম্যাচে একটি গোল হয়েছে আত্মঘাতী। মেহেদী মিঠুর পায়ে লেগেই গোলটি হজম করে বাংলাদেশ। তাকে রেখেই লেবাননের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে কাতারে গেছে বাংলাদেশ।
জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা অস্ট্রেলিয়া ও লেবানন ম্যাচের জন্য ২৬ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিলেন। ২৬ জনের দলে ছিলেন মজিবুর রহমান জনি ও বিশ্বনাথ ঘোষ। যদিও কার্ড জটিলতায় এরা দুজন অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের জন্য ঘোষিত ম্যাচের ২৩ জনের চূড়ান্ত তালিকায় ছিলেন না। লেবানন ম্যাচে তাদের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় তারাও দোহা গেছেন।
২৬ জনের দল থেকে বাদ মিঠু ছাড়া বাদ পড়েছেন- ফরোয়ার্ড আব্দুল্লাহ ও রাব্বি আহম্মেদ রাহুল।
অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচে তারিক কাজী ও সোহেল রানা ব্যথা পেয়েছিলেন। সেটা অবশ্য খুব গুরুতর না হওয়াতে কোচ তাদের দলে রেখেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫-৩-২ ছকে খেলেছিল বাংলাদেশ। লেবাননের বিপক্ষে তা হয়তো হবে না। একটু আক্রমণাত্মক ছকে খেলার সম্ভাবনা আছে।
দলে বিশ্বনাথ ও মজিবর রহমান জনি যোগ দেওয়ায় কাবরেরার শক্তি বেড়েছে। বিশেষ করে রক্ষণে মেহেদী হাসান মিঠুর জায়গায় পরীক্ষিত বিশ্বনাথ থাকলে ভরসাটা একটু বেশি করতে পারেন কোচ। কাবরেরা আগের দিনই ম্যাচ শেষে লেবাননের বিপক্ষে ইতিবাচক ফল প্রত্যাশা করার কথা বলেছিলেন। সেটা যে তিন পয়েন্টের জন্য, তা বলার অপেক্ষা রাখছে না। বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে লেবাননের বিপক্ষে হোম ম্যাচে এক পয়েন্ট পেয়েছিল বাংলাদেশ।
এবার জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবেন ফুটবলাররা। এমনটাই আশা দলের সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের, “ঢাকায় অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালীর দলের সঙ্গে উজাড় করে খেলেছে ছেলেরা। ডিফেন্ডাররা অনেক উন্নতি করেছে। এই ম্যাচ আমাদের বাঁচা মরার লড়াই। আমাদের প্রথম লক্ষ্যই থাকবে জয়।”
ফুটবলারদের চ্যালেঞ্জ দোহার গরমের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। সবার হয়ে যেন ডিফেন্ডার রহমত মিয়া সেটাই বললেন, “ এখানে গরম আমাদের দেশের তুলনায় একটু বেশি। তবুও আশা করি এই গরমের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারব।”
