জাতীয় নারী ফুটবল দলের বেশিরভাগ ম্যাচে সংবাদ সম্মেলনে কোচকে দেখা যেত হাসি মুখে। কিন্তু চাইনিজ তাইপের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশের কোচ যেমন নতুন, তেমনি নতুন ভাবেই দেখা গেল তাকে।
গোলাম রব্বানী ছোটন, সাইফুল বারী টিটুর পর ইংলিশ কোচ জেমস পিটার বাটলারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবিনা খাতুনদের। তবে নতুন কোচের অভিজ্ঞতাটা মোটেও সুখকর হলো না।
চাইনিজ তাইপের কাছে ৪-০ গোলে অসহায় আত্মসমপর্ণের পরও কোচ খুশি, “ওরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুশি। মেয়েরা অনেক ভালো খেলেছে।”
ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। আফঈদা খন্দকার, মাসুরা পারভীনদের ভুলেই মূলত গোল খেয়েছে বাংলাদেশ।
প্রথমার্ধ শেষে মেয়েদের জন্য কি বার্তা ছিল? উত্তরে বাটলার বলেন, “ওরা লড়াই করেছে। কিছু ভুলের কারণে যদিও গোল খেয়েছে। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভালো করেছে। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে। সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছে। আমি ওদের বলেছি, ভয় পেয়ো না। স্বাভাবিক খেলা খেলো।”
আগামী অক্টোবরে অনুষ্ঠিত হবে নারী সাফ। কিন্তু সাফের আগে প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর বদলে এখনও পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন এই কোচ। ম্যাচ শেষে তেমনটাই বললেন বাটলার, “৪ গোল খাওয়াটা মেয়েদের জন্য শিক্ষা। আমি দল নিয়ে কিছু পরীক্ষা করেছি। কিছু বদল করেছি। কিন্তু যারা খেলেছে প্রত্যেকে ভালো খেলার চেষ্টা করেছে। তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আমি এই দলের দায়িত্ব নিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে ভালো জায়গায় নিয়ে যেতে চাই। এশিয়ার মধ্যম সারির ফুটবল দলে পরিণত করতে চাই। কারণ তাদের ভালো খেলার সামর্থ্য আছে। ওরা খুব পরিশ্রমী। “
বাংলাদেশের কাছে আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করেছিলেন চাইনিজ তাইপের কোচ চান হিউ মিন, “বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়ন। ওরা অবশ্যই ভালো দল। আজ হয়তো সেরাটা দিতে পারেনি। রক্ষণের ভুলের কারণে বাংলাদেশ গোল খেয়েছে। তবে এই দলের খেলা দেখে মনে হয়েছে আরও জমাট রক্ষণ হলে আমাদের জন্য সমস্যা হতো।”
