জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়েই দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে বাংলাদেশ গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগম। সাফ অনূর্ধ্ব-১৬ ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালটা নির্ধারিত সময় ১-১ থাকায় গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। নেপালের আনফা কমপ্লেক্সে টাইব্রেকারের স্নায়ুচাপের লড়াইয়ে ভারতের ৩টি পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের শিরোপা নিশ্চিত করে ইয়ারজান।
সেই সুবাদে টুর্নামেন্টের সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি পেয়েছে ইয়ারজান। এত প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে আবেগে ভাসছে ইয়ারজান। নিজের জন্মদাতা বাবা ও কোচকে এই সাফল্য উৎসর্গ করতে গিয়ে চোখের জল ধরে রাখতে পারেনি এই কিশোরী।
ম্যাচ শেষে তার কণ্ঠে গৌরব আর আনন্দের মাখামাখি, “আমার অনেক ভালো লাগছে। প্রথম টুর্নামেন্ট জিতলাম। সেরা গোলরক্ষক হওয়ার অনুভূতি একেবারেই আলাদা। প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমেই সেরা হয়েছি, শিরোপা জিতেছি। অনেক খুশি আজ আমি।”
এরপর সে যোগ করেন, “ এই সাফল্যের কৃতিত্ব আমি আমার বাবা ও কোচকে (গোলকিপার কোচ আরিফ আহমেদ পান্নু) দিতে চাই।” এরপর আর কথা বাড়াতে পারেনি ইয়ারজান। আনন্দের অশ্রু ঝরতে শুরু করে তার দু’চোখ বেয়ে।
পাশে থাকা কোচ পান্নু অবশ্য সব কৃতিত্বই দিয়েছেন ইয়ারজানকে, “আমরা কোচ হিসেবে বড় জোড় কিছু কৌশল শিখিয়ে দিতে পারি। আজ ইয়ারজান যা করেছে, তার সব কৃতিত্ব ওর। শিরোপা নির্ধারণী টাইব্রেকারে সে তার স্নায়ুকে স্বাভাবিক রেখে অসাধারণ সেভ করেছে। টাইব্রেকারে আগ মুহূর্তে ও একটু ঘাবড়ে গিয়ে কান্না করছিল। আমি কাছে ডেকে নিয়ে শুধু বলেছি, কোন চাপ নিও না। তুমি শুধু একটা সেভ দাও। দেখবা আরও সেভ দিয়ে ফেলবা। তোমার ওপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে। আল্লাহর অশেষ রহমত ছিল। ও দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে।’