যে কোনও গেমসে মশাল জ্বালানো এক ধরনের রীতি। সেই রীতি মেনেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে শুক্রবার শুরু হওয়া ৪৭তম জাতীয় অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতায় মশাল জ্বালিয়েছেন দেশের ১৭ বারের দ্রুততম মানবী নাজমুন নাহার বিউটি ও সাবেক পোল ভল্টার শরিফুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মশাল নিয়ে দৌড়ানোর সময় হঠাৎ করে অগ্নি দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান এই দুই অ্যাথলেট।
মশাল দৌড়ের মাঝ পথে ঘটে এই দুর্ঘটনা । দুজনের হাতে ধরো থাকা মশাল থেকে আগুনের গোলা বেয়ে বেয়ে পড়তে থাকে হাতের ওপর। হাতলও প্রচন্ড গরম হয়ে ওঠে। ওই অবস্থায় আগুন হাতের মুঠোর মধ্যে চলে আসায় দ্রুত মশালটি ফেলে দেন বিউটি। মূলত দুর্ঘটনা ঘটার শঙ্কায় মশালটি হাত থেকে ফেলে দেন তিনি।
মশালের আগুন গিয়ে পড়ে নতুন অ্যাথলেটিকস ট্র্যাকের ওপর। স্বেচ্ছাসেবকেরা এসে দ্রুত পা দিয়ে আগুনের কুন্ডুলি সরিয়ে ঘাসের ওপর ফেলেন। এরপর পানি দিয়ে সেই আগুন নেভানো হয়।
শরীফুল ইসলাম এই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, “মশালের ভেতরে আয়োজকেরা বেশি কেরোসিন ভরে দিয়েছিল। আমরা দৌড়াতে দৌড়াতে উপচে পড়া তেল ঝাকি খেয়ে হাত বেয়ে নিচের দিকে চলে আসে। গরমের কারণে সে মশালটি ফেলে দেয়। বিউটির কোনও ক্ষতি হয়নি। তবে হতেও পারতো।”
অ্যাথলেটিকসের প্রথম দিনে অব্যবস্থাপনা ছিল আরও। চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে বেশ সাজানো হয়েছে স্টেডিয়াম। তবে সেখানে দেখা যায়নি দেশের সাবেক তারকা অ্যাথলেটদের কোনো ছবি।
বিকেল পৌনে ৪টায় আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্ট হওয়ার কথা থাকলেও এক ঘন্টা দেরিতে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দীর্ঘ বক্তৃতাপর্বে।
১০০ মিটার শেষ হওয়ার পর অ্যাথলেটদের প্রতিক্রিয়া জানার জন্য গণমাধ্যম অপেক্ষা করলেও কোনও সহযোগিতা করেনি অ্যাথলেটিক ফেডারেশন।
উচ্চশব্দে মাইক বাজার কারণে ইমরানুর রহমান ও শিরিন আক্তারের কোনও প্রতিক্রিয়াই ঠিকমতো শুনতে পাননি কেউ।
ইলেকট্রনিক টাইমারও ঠিকমতো কাজ করেনি। এক পাশে টাইমিং দেখা গেলেও অন্যপাশে ছিল অন্ধকার।
সব অব্যবস্থাপনা এবং দায়িত্ব পালনে ফেডারেশনের সহযোগিতা না পাওয়া নিয়ে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “আগামীতে এসব বিষয় গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।” পাশে দাঁড়ানো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু বলেন, “ওনারা (সাংবাদিকরা) তো এখানে কাজ করতে এসেছেন। তাদের সহযোগিতা করা উচিত ছিল। এসব দায়িত্ব পালন করা মানুষকে ট্রেনিং দেওয়া উচিত।”