আগস্ট-সেপ্টেম্বরের পর সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসেও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রপ্তানি আয় কমেছে। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮২ কোটি ৩৮ লাখ (৩.৮২ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।
এই আয় গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ কম। এ নিয়ে টানা তিন মাস পণ্য রপ্তানি থেকে ৪০০ কোটি (৪ বিলিয়ন) ডলারের কম আয় দেশে আসল।
উদ্বেগজনক তথ্য হচ্ছে—অক্টোবরে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় কমেছে আরও বেশি ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
রপ্তানিকারকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নিয়ে অস্থিরতার কারণেই রপ্তানি আয় কমছে। আগামী মাসগুলোতেও এই নেতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রপ্তানি আয়ে বড় উল্লম্ফন নিয়ে শুরু হয়েছিল ২০২৫-২৬ অর্থ বছর; অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৭৭ কোটি (৪.৭৭ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়, যা ছিল গত অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের চেয়ে ২৪ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।
কিন্তু দ্বিতীয় মাস আগস্টে এসেই হোঁচট খায়। ওই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৯১ কোটি ৫০ লাখ (৩.৯১ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছিল। গত অর্থ বছরের আগস্ট মাসের চেয়ে কমেছিল ২ দশমিক ৯৩ শতাংশ।
তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরেও কমে। ওই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৬২ কোটি ৭৫ লাখ (৩.৭৫ বিলিয়ন) ডলার আয় হয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসের চেয়ে কমেছিল ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি থেকে ৩৮২ কোটি ৩৮ লাখ৬০ হাজার (৩.৮২ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। গত ২০২৪-২৫ বছরের চতুর্থ মাস অক্টোবরে আয়ের অঙ্ক ছিল ৪১৩ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার (৪.১৩ বিলিয়ন) ডলার।
এ হিসাবেই অক্টোবরে আয় কমেছে ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের প্রধান দুই উৎস হচ্ছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স। গত অর্থ বছরের ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থ বছরেও এই দুই সূচকে ঊর্ধ্বমুখী ধারা নিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থ বছর শুরু হয়েছিল।
এই আর্থিক বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিটেন্স বেড়েছিল ২৯ দশমিক ৫০ শতাংশ; দ্বিতীয় মাস আগস্টে বাড়ে ৯ শতাংশ। তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৭২ শতাংশ। অক্টোবরে বেড়েছে ৭ দশমিক শূন্য তিন শতাংশ
কিন্তু রেমিটেন্সে ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় থাকলেও রপ্তানি আয় কমছেই।
গত এপ্রিল থেকে ট্রাম্প শুল্ক নিয়ে একধরনের অস্থিরতা ছিল। ৩১ জুলাই বিভিন্ন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পাল্টা শুল্ক এড়াতে জুলাই মাসে অনেক পণ্য জাহাজীকরণ হয়েছে। স্থগিত থাকা অনেক পণ্যও রপ্তানি হয়। সে কারণে জুলাই মাসে রপ্তানি অনেক বেড়েছিল বলে মনে করেন পোশাক রপ্তানিকারকরা।
৭ আগস্ট থেকে ট্রাম্প শুল্ক কার্যকর হয়েছে বাংলাদেশে। পাল্টা শুল্ক কার্যকর হওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের জন্য শুল্ক ঘোষণা করেন। তাতে বাংলাদেশের শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমে হয় ২০ শতাংশ।
প্রতিযোগী দেশের তুলনায় পাল্টা শুল্ক কাছাকাছি হওয়ায় দুশ্চিন্তামুক্ত হন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকেরা। কিন্তু এর পরও রপ্তানি আয় কমায় ফের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে রপ্তানিকারকদের।
কেনো কমছে জানতে চাইলে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ চেম্বারের বর্তমান সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী পারভেজ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমাদের প্রধান বাজার আমেরিকা ও ইউরোপ। ওই দুই জায়গাতেই রপ্তানি ধাক্কা খেয়েছে। ট্রাম্প শুল্কের কারণে আমেরিকার বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। সে কারণে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। এখন তারা তৈরি পোশাকসহ অন্যান্য পণ্য কম কিনছে। তার একটা প্রভাব পড়েছে আমাদের রপ্তানিতে।”
“অন্যদিকে বাড়তি শুল্ক আরোপ করায় আমাদের প্রধান প্রতিদ্বন্ধি চীন ও ভারত আমেরিকার বাজার থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউরোপের বাজারে আগের চেয়ে বেশি বেশি পণ্য রপ্তানি করছে। অনেকে ক্ষেত্রে কম দামেও পোশাক রপ্তানি করছে তারা। সে কারণে ইউরোপের বাজারেও আমাদের রপ্তানি কমছে।”
একই কথা বলেছেন নিট পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বছরের অক্টোবর মাসে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক ধাক্কার প্রভাবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানি প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা দেশের সামগ্রিক রপ্তানি আয়েও প্রতিফলিত হয়েছে।”
“তৈরি পোশাক খাতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখা দিয়েছে, কারণ বেশিরভাগ ক্রেতাই নতুন করে কোনো অর্ডার দিচ্ছে না। তারা এখন অতিরিক্ত ২০ শতাংশ রেসিপ্রোক্যাল শুল্কের (পাল্টা শুল্ক) একটি অংশ বাংলাদেশী সরবরাহকারীদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
“রপ্তানিকারকদের পক্ষে এই অতিরিক্ত চাপ বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়, কারণ তারা ইতোমধ্যেই প্রাথমিক শুল্ক সমন্বয় এবং উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধির প্রভাবসহ বিভিন্ন ধরনের চাপে রয়েছে।”
“এছাড়া, বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এবং অন্যান্য বাজারেও কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়েছে, কারণ চীনা ও ভারতীয় প্রস্তুতকারকরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এইসব বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
“আমরা আশঙ্কা করছি, এই ধীরগতি আগামী দুই থেকে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা নতুন শুল্ক কাঠামোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে, আমাদের রপ্তানি আবারও পুনরুদ্ধার হবে বলে আশা করছি।
“এ সময়টায় রপ্তানিকারকদের ধৈর্য্য সহকারে ক্রেতাদের যে কোন ধরনের চাপ মোকাবেলা করতে হবে,” বলেন মোহাম্মদ হাতেম।
৪ মাসের হিসাবে প্রবৃদ্ধি ২.২ শতাংশ
টানা তিন মাস কমলেও চলতি অর্থ বছরের প্রথম চার মাসের (জুলাই-অক্টোবর) হিসাবে এখনও প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। মূলত প্রথম মাস জুলাইয়ে উচ্চ প্রবৃদ্ধির কারণেই প্রবৃদ্ধি রয়ে গেছে।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের জুলাই-অক্টোবর সময়ে পণ্য রপ্তানি থেকে সব সব মিলিয়ে ১ হাজার ৬১৩ কোটি ৭০ লাখ (১৬.১৪ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে ২ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরের এই চার মাসে আয়ের অঙ্ক ছিল ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ৬৩ লাখ (১৫.৭৮ বিলিয়ন) ডলার।
মূলত তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে আয় কমার কারণেই আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরেও রপ্তানি আয় ধাক্কা খেয়েছে। অক্টোবরে মাসে ৩০১ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার(৩.০২ বিলিয়ন) ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৩২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৫০ হাজার (৩.২৯ বিলিয়ন) ডলার।
এ হিসাবেই অক্টোবরে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
৩০ জুন শেষ হওয়া ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪ হাজার ৮২৮ কোটি ৩৯ লাখ (৪৮.২৮ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ, যা ছিল আগের অর্থ বছরের (২০২৩-২৪) চেয়ে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে শেষ মাস জুনে ৩৩৩ কোটি ৭৯ লাখ (৩.৩৪ বিলিয়ন) ডলার আয় করেন বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকরা। এপ্রিল মাসে আয়ের অঙ্ক ছিল ৩০০ কোটি (৩ বিলিয়ন) ডলার। মার্চে আয় হয়েছিল ৪২৪ কোটি ৮৬ লাখ (৪.২৫ বিলিয়ন) ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আয়ের অঙ্ক ছিল ৩৯৭ কোটি ৩১ লাখ ডলার।
২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ৪৪৩ কোটি ৬০ লাখ (৪.৪৩ বিলিয়ন) ডলারের পণ্য রপ্তানি করেন রপ্তানিকারকরা। গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে আয় হয়েছিল ৪৬২ কোটি ৭৫ লাখ (৪.৬২ বিলিয়ন) ডলার।
নভেম্বর মাসে রপ্তানির অঙ্ক ছিল ৪১১ কোটি ৯৭ লাখ (৪.১২ বিলিয়ন) ডলার; অক্টোবরে আয় হয়েছিল ৪ দশমিক ১৩ বিলিয়ন ডলার। সেপ্টেম্বরে আয় হয়েছিল ৩ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার; আগস্ট ও জুলাইয়ে আয়ের অঙ্ক ছিল যথাক্রমে ৪ দশমিক শূন্য তিন ও ৩ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।
রপ্তানিকারকরা অনেক দিন ধরেই অভিযোগ করছিলেন, ইপিবি রপ্তানি আয়ের ফোলানো-ফাঁপানো তথ্য দিচ্ছে। গত বছরের জুলাই মাসে রপ্তানি আয়ের হিসাবে বড় ধরনের গরমিল ধরা পড়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে ইপিবি।
এরপর থেকে রপ্তানি আয়ের সংশোধিত বা প্রকৃত তথ্য প্রকাশ করছে ইপিবি। গরমিল ধরা পরার পর গত বছরের ৯ অক্টোবর গত ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের তিন মাসের (প্রথম প্রান্তিক, জুলাই-সেপ্টেম্বর) তথ্য একসঙ্গে প্রকাশ করে ইপিবি।
এরপর থেকে প্রতি মাসেই রপ্তানি আয়ের তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছে, যা প্রকৃত তথ্য বলে দাবি করছে ইপিবি।
৭৯ শতাংশই এসেছে পোশাক থেকে
দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক। অক্টোবর মাসে পোশাক রপ্তানি করে ৩০২ কোটি (৩.০২ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসে মোট রপ্তানি আয়ের ৭৯ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।
এই মাসে নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন ডলার; গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে যা ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ কম। আর ওভেন পোশাক থেকে আয় কমেছে ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আয় হয়েছে ১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।
অন্যান্য খাত
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, অক্টোবরে কৃষি পণ্য রপ্তানি থেকে ১০ কোটি ২২ লাখ ৮০ হাজার ডলার আয় হয়েছে। যা গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম।
তবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় বেড়েছে। অক্টোবরে এই খাত ৯ কোটি ৩৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার আয় হয়েছে; বেড়েছে ১২ দশমিক ৭৬ শতাংশ।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে অক্টোবরে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৮০ হাজার ডলারের বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে। যা গত বছরের অক্টোবরের চেয়ে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি।
হোম টেক্সটাইল রপ্তানি থেকে আয় বেড়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। অক্টোবরে এই খাত থেকে ৭ কোটি ২৪ লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে। গত বছরের অক্টোবরে এসেছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
তবে হিমায়িত চিংড়ি রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। অক্টোবরে এই খাত থেকে এসেছে ৩ কোটি ৬ লাখ ৮০ হাজার ডলার। গত বছরের অক্টোবরে এসেছিল ৩ কোটি ৭০ লাখ ডলার।
ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশ। এসেছে ২ কোটি ২ হাজার ডলার। গত বছরের অক্টোবরে এসেছিল ৩ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার ডলার।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৪ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ, যা ছিল আগের অর্থ বছরের (২০২২-২৩) চেয়ে ৪ দশমিক ২২ শতাংশ কম।
২০২৪-২৫ অর্থ বছরে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট ৫০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য ধরেছিল অন্তর্বর্তী সরকার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি (৫৫ বিলিয়ন) ডলার।



