ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের নয়টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
রোববার উৎসবের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজে নির্বাচিত চলচ্চিত্রগুলোর ফেস্টিভ্যাল পোস্টার প্রকাশ করেছে উৎসব কর্তৃপক্ষ। আগামী ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চলচ্চিত্র উৎসবটিতে প্রদর্শিত হবে চলচ্চিত্রগুলো।
উৎসবের বাংলাদেশি প্যানারোমা বিভাগে নির্বাচিত এই চলচ্চিত্রগুলো হলো- শঙ্খ দাশগুপ্ত পরিচালিত চলচ্চিত্র প্রিয় মালতী, ধ্রুব হাসান পরিচালিত ফাতিমা, ইকবাল হাসান চৌধুরী পরিচালিত বলি, নিয়ামুল হাসান মুক্তা পরিচালিত রক্তজবা, তৌফিক এলাহী পরিচালিত নীলপদ্ম, কুসুম শিকদার পরিচালিত শরতের জবা, বিপ্লব সরকার পরিচালিত আগন্তুক, আব্দুল আহাদ পরিচালিত সহযাত্রা, আবদুল আহাদ তানভীর পরিচালিত বাতাসের ফেনা, মেহেদী রনি পরিচালিত এখানে নোঙর।
এ ছাড়া দেশের প্রায় ৪০টি বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবিও প্রদর্শিত হবে উৎসবে।
উৎসব উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে চিউ ঝ্যাং পরিচালিত মুন ম্যান। এবং সমাপনী চলচ্চিত্র হিসেবে প্রদর্শিত হবে ইকবাল হাসান চৌধুরী পরিচালিত বলি।
বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান এ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এটি ২৩ তম আসর। এবার প্রদর্শন করা হবে
উৎসব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এরই মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে প্রদর্শনীযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো। চূড়ান্ত বাছাইয়ের পর এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগ, রেট্রোস্পেকটিভ বিভাগ, ট্রিবিউট, বাংলাদেশ প্যানারোমা, ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, সিনেমা অব দ্য ওয়ার্ল্ড, চিশে ফিল্ম, স্পিরিচুয়াল ফিল্মস, শর্ট অ্যান্ড ইন্ডিপেনডেন্ট ফিল্ম ও উইমেন্স ফিল্ম সেশনে বাংলাদেশসহ ৭৫ দেশের প্রায় ২৫০টি সিনেমা প্রদর্শিত হবে এই উৎসবে।
ইতিমধ্যে চলচ্চিত্রগুলো সার্টিফিকেশন বোর্ডের মাধ্যমে প্রদর্শনীর অনুমতি নেয়ার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
তিনি বলেন, “তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা এই উৎসব বাংলাদেশ ও এদেশের বোদ্ধা দর্শক ও প্রতিভাবান নির্মাতাদের সঙ্গে বিশ্ব চলচ্চিত্রের সেতুবন্ধন নির্মাণ করতে পেরেছে বলে আমাদের ধারণা। উৎসবের পরিচালক হিসেবে আমি সবসময়ই চেষ্টা করেছি দল ও মতের উর্ধ্বে থেকে, উৎসবটিকে নির্দলীয় জায়গা থেকে পরিচালনা করতে, আর সেটা সফলভাবে তিনদশকের বেশি সময় ধরে করতে পেরেছি বলেই, সকল রাজনৈতিক ও নির্দলীয় সরকারের আমলে আমরা অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সততার সাথে সফল আয়োজন করতে পেরেছি এবং উৎসাহ পেয়েছি দেশের বিভিন্ন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতা ও বোদ্ধাদের কাছ থেকে।”
তবে, উৎসব সাদামাটাভাবেই আয়োজিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতাসহ নানা সংকটের মুখোমুখি হতে হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন,”পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমাদের অনেক কিছু বিবেচনা করতে হচ্ছে। বিদ্যা বালান, কঙ্কনা সেন শর্মার মতো তারকার সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনা করে এদিকটায় সংযত হতে হচ্ছে।”
এবারও ভেন্যু হিসেবে জাতীয় জাদুঘরের পাশাপাশি থাকছে শিল্পকলা একাডেমি, রাশিয়ান সাংস্কৃতিককেন্দ্র ও আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন।