তারকাদের জীবন নিয়ে সাধারণ মানুষের কৌতুহল থাকা খুবই স্বাভাবিক। অনেকের কাছেই তারা যেমন অনুপ্রেরণা তেমনি অনুসরণীয়ও বটে। তবে তারকাদের জীবনের সবটাই যে অনুসরণ করার মতো তা কিন্তু নয়। তাদেরও যে আছে নানারকম চ্যুতি এবং ভুলভ্রান্তি। কারণ তারাও আমাদের মতোই মানুষ।
তারকাদের ভালো দিকগুলো থেকে তো বটেই, তাদের ভুলগুলো থেকেও শেখার আছে অনেক কিছু।
সম্পর্কের সীমারেখা
বলিউড অভিনেত্রী অনন্যা পান্ডে এক সাক্ষাৎকারে তার দাম্পত্য নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। নেহা ধুপিয়ার নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে অনন্যা পান্ডে নিজের আত্মসমালোচনা করে বলেন, জীবনসঙ্গীকে যথেষ্ঠ স্বস্তিকে থাকতে দেননি তিনি।
সাক্ষাৎকারে জানা যায়, প্রেমিক আদিত্য রয় কাপুর একবার তার ফোন কল রিসিভ করতে না পারায়, তিনি তাকে টানা ৭০বার কল করেন। বলিউড তারকা আদিত্য রয় কাপুরের সঙ্গে তার টেনেটুনে দুবছর সম্পর্ক ছিল।
তার এই সাক্ষাৎকার থেকেই কিন্তু একটি বিষয় শেখার আছে। সেটি হলো, যে কোন সম্পর্কে ব্যক্তিগত সীমারেখা বজায় রাখা খুব জরুরী।
পরিমিতিবোধ
অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিবিদ এবং পরে সংসদ সদস্য বনে যাওয়া কঙ্গনা রানাউত সম্পর্কের ব্যাপারে ছিলেন বেশ খোলামেলা। এতোটাই খোলামেলা ছিলেন যে, অতীত প্রণয়ের বহু নেতিবাচক দিক তিনি গণমাধ্যমে বলে ফেলতেন। ঋত্বিক রোশানের সঙ্গে বিতর্কিত বিচ্ছেদ নিয়ে একসময় গণমাধ্যমে তিনি ছিলেন বেশ সরব। অভিনেতা এবং কণ্ঠশিল্পী অধ্যয়ন সুমনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটলেও নানা কথা বলতে তার বাধেনি।
তার এই ঘটনা থেকে শিক্ষা হলো- অতীতে যার সঙ্গে সুন্দর মূহূর্ত কেটেছে তাকে অন্যদের গসিপের উপাদান বানিয়ে ফেলা একেবারেই কাম্য নয়।
জনপরিসরে ভদ্রতাজ্ঞান
কারান জোহরের জনপ্রিয় শো ‘কফি উইথ কারানে’ আমন্ত্রিত হয়ে এসেছিলেন ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া। এসেই নিজের অতীত সম্পর্কগুলো নিয়ে তুলেছিলেন রীতিমতো ঝড়। বলতে গেলে একেবারে কিছুই যেন বাদ রাখেননি হার্দিক। সম্পর্কের খুঁটিনাটি বিবরণ তো ছিলই, পাশাপাশি ব্যক্তিগত বহু স্পর্শকাতর ঘটনাও অবলীলায় বলে দিচ্ছিলেন। এটি দর্শক শ্রোতাদের তার প্রাক্তনদের ব্যাপারে যেমন ক্ষুদ্ধ করে তুলছিল, তেমনি এই কাণ্ডে হার্দিকের ক্ষুদ্রতাও প্রকাশ পেয়েছে।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, আমরা যখন জনপরিসরে কথা বলবো তখন আমাদের অবশ্যই ভদ্র, মার্জিত এবং অমায়িক হওয়া উচিৎ।
যা কিছু ব্যক্তিগত, থাক না সেরকমই
‘বিগ বস’ হোক আর হোক ব্যক্তিগত জীবন- খবরের শিরোনাম যেন হতেই হবে ভারতীয় অভিনেত্রী অঙ্কিতা লোখান্দে আর তার ব্যবসায়ী স্বামী ভিকি জেইনকে। গণমাধ্যমে অতিরিক্ত উপস্থিতি তাদের বিরক্তিকর জুটিতে পরিণত করে। সুতরাং, নিজের ব্যক্তিগত জীবনকে ব্যক্তিগত রাখাই যে শ্রেয় তা এই জুটি থেকে খুব ভালোভাবে শেখা যায়।