রাজনৈতিক পালাবদলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডেও লেগেছে পরিবর্তনের হাওয়া। নাজমুল হাসান পাপনের জায়গায় বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন ফারুক আহমেদ। বোর্ডের সর্বোচ্চ অভিভাবকের পদ বদলের সঙ্গে ঝুলে গেছে বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের ভবিষ্যতও।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে বাংলাদেশের দায়িত্ব নেন হাথুরুসিংহে। আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত রয়েছে বিসিবির সঙ্গে তাঁর চুক্তি। এর আগেই জাতীয় দলের কোচ পদে পরিবর্তন আসবে কি না, এ প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেন, “এই মুহূর্তে বলা কঠিন। আমাকে একটু সময় দিন, অন্তত দুই-তিন দিন। এ সময় আমাদের কলিগদের সঙ্গে কথা বলি। সিইও আছেন, আগে যারা কাজ করেছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে নেবো। তাছাড়া কতদিন চুক্তি রয়েছে সেটাও জানি না। তারপরও… আমি ওই অবস্থান থেকে সরিনি এখনও (হাথুরুর বিদায়)।”
এরপর তিনি যোগ করেন, “একজন কোচকে যখন আনা হয়, তখন নিশ্চয়ই তিন-চারজনের সংক্ষিপ্ত তালিকা থাকে। অন্যরা আসতে পারবে, নাকি পারবে না—এটাও দেখতে হবে।”
যদিও নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কদিন আগেই কথা বলেছিলেন হাথুরুসিংহে। এই মুহূর্তে দলের সঙ্গে পাকিস্তান সফরে থাকা লঙ্কান এই কোচ তখন বলছিলেন, “আমার কোনও ধারণা নেই বাংলাদেশে (ক্রিকেট বোর্ডে) কী চলছে। আমার ভবিষ্যতের কথা বললে, যত দিন পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ আছে, আমি দায়িত্ব পালনের দিকে তাকিয়ে আছি। বোর্ড যদি বদলে যায় এবং তারা যদি পরিবর্তন চায়, আমার তাতে সমস্যা নেই। তারা যদি আমাকে চালিয়ে নিতে বলে, আমাকে নিয়ে খুশি থাকে, আমিও খুশি মনে দায়িত্ব পালন করব।’
স্থানীয় কোচদের প্রসঙ্গও উঠে আসে সংবাদ সম্মেলনে। এ সময় ফারুক আহমেদ বলেন, “লোকাল কোচ খুবই জরুরী। আমার মনে খুব ভালোভাবে আছে ওই কথাটা। তবে আমিই একমাত্র সিদ্ধান্ত নেব, এটা ঠিক না। হয়তো আমার ওপর দায়িত্বটা বেশি। কারণ, আমি সিদ্ধান্ত নেব। কিন্তু অন্যদের সঙ্গেও কথা বলতে হবে।”
