দেশের রাজনৈতিক পালা বদলের পর ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মাশরাফি ছাত্র আন্দোলনের সময় ছিলেন পুরোপুরি নীরব। একইভাবে বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে কোনও কথা বলেননি।
এমনকি বিশ্বকাপের পর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন লিগে খেলে বেড়াচ্ছেন সাকিব। কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগ খেলার সময় তো সমর্থকদের সঙ্গেই তর্কে জড়িয়ে সামলোচনার জন্ম দেন। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাকিব দেশেই ফেরেননি।
নানা আলোচনা সমালোচনার মাঝে যদিও চলমান পাকিস্তান সিরিজে সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। কানাডা থেকে সরাসরি যোগ দিয়েছেন পাকিস্তানে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের সংসদ সদস্য সাকিবের ভবিষ্যৎ কী হবে সেটাই জানতে চাওয়া হয় নতুন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের কাছে।
দায়িত্বের প্রথম দিন বুধবার মিরপুর স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবের প্রসঙ্গে ফারুক আহমেদ বলেন, “তার ব্যাপারে আমাদের বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করব, সাকিব এখন যে স্টেজে আছে, সে এভাবে চালিয়ে যেতে পারে কি না সেটা দেখবো। এখানে বোর্ডের কিছু পলিসি আছে। সেগুলো নিয়ে আলাপ করতে হবে। অবশ্যই দুটি টেস্ট ম্যাচ (পাকিস্তান সিরিজ) আছে, তার ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। পলিসি যদি থাকত, যদি সাকিবকে বলা হতো তুমি খেলো না, তখন সেটা বোর্ডের ওপর যেত। আরেকটা ব্যাপার আছে, সে বাইরে থেকে ঘুরে ঘুরে খেলতে পারবে কি না, এটা গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। আমার গুরুত্বের সঙ্গেই দেখব।”
অতীতে দেখা গেছে কোনও গুরুত্বপূর্ন সিরিজ বা টুর্নামেন্টের মাঝ পথে দেশে ফিরে হয়তো বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন সাকিব। নয়তো নিজের অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষে ফিরে গেছেন ওই সিরিজ খেলতে। কিন্তু এখন থেকে আর আগের নিয়মে চলা যাবে না ক্রিকেটারদের। এসব বিষয়ে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানান নতুন সভাপতি, “খেলোয়াড়দের ব্যাপারে কিছু নিয়ম যোগ করা হবে। তারা কি করতে পারবে, কি করতে পারবে না, এটা আমি আজকেই এখানে ঢোকার আগে অনানুষ্ঠানিকভাবে আলাপ করেছি। বিশেষ করে সফর চলাকালীন সময়, সফরের আগে পরে ক্রিকেটাররা কি করতে পারবে, কি পারবে না, এসব থাকবে। আপনার যদি লিখিত থাকে, সফর চলাকালীন সময় আপনি কোনও বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না। তাহলে এটার জন্য আপনার কাছে কেউ আসবে না। এটা যদি পরিস্কার লেখা থাকে, তাহলে সুবিধা হবে।”