বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন কঠিন পরীক্ষার হবে বলে মনে করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের দেশের জনগণের আস্থা ধরে রাখার ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোর নেতাকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তারেক রহমান।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচন হবে একটি কঠিন পরীক্ষার নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফলের জন্য বিএনপি সবসময়ই জনসমর্থনের ওপর নির্ভরশীল।
“বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে শত জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করে যেভাবে জনগণের আস্থা ধরে রেখেছে তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। এমন কোনও কাজ করা যাবে না যা জনগণের আস্থা নষ্ট করে।”
জনসম্পৃক্ত থেকে জনগণের আস্থা অর্জন ও সেটা অক্ষুণ্ণ রাখতে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে সব প্রশ্নের ঊর্ধ্বে থেকে কাজ করার নির্দেশও দেন তিনি।
বিএনপি’র মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবীর খান জানিয়েছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময়ের আয়োজন করছে বিএনপি। শুক্রবার ছিল এর দ্বিতীয় দিন। মতবিনিময়ে যুক্তরাজ্য থেকে ভিডিও কলে যুক্ত হন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
দেশের গণমাধ্যমগুলোয় দীর্ঘদিন তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার করা নিষেধ ছিল।
২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আইনের দৃষ্টিতে পলাতক উল্লেখ করে তারেক রহমানের কোনও বক্তব্য কিংবা বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ নিষিদ্ধে রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এরপর দেশের বিভিন্ন পদে রদবদল হয়, পরিবর্তন আসে বিচার বিভাগেও। মুক্তি পান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, প্রত্যাহার করা হতে থাকে অনেক রাজনৈতিক মামলা।
এরই এক পর্যায়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারেক রহমানের বক্তব্য-বিবৃতি প্রচার ও প্রকাশের নির্দেশ প্রত্যাহার করে নেয় হাইকোর্ট। গত ২২ আগস্ট বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগের আদেশ ‘ডিসচার্জড ফর নন প্রসিকিউশন’ বা খারিজের আদেশ দেয়।