Beta
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫

সেই মতিউরকে জেলগেইটে জিজ্ঞেসবাদের নির্দেশ

মতিউর রহমান।
মতিউর রহমান।
[publishpress_authors_box]

ছাগলকাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের এক মামলায় জেলগেইটে জিজ্ঞেসাবাদ করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সোমবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এই আদেশ দেয়।

এর আগে, গত ২১ জানুয়ারি দুদকের পক্ষ থেকে এই মামলায় মতিউর রহমানকে সাত দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি চায় দুদক। ওইদিন কোনও আদেশ না দিয়ে রিমান্ড শুনানির জন্য ২৭ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন বিচারক।

আজ শুনানিতে মতিউরের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেছিলেন বলে তার তার আইনজীবী ওয়াহিদুজ্জামান লিটন। তবে রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করেছিল। পরে শুনানি শেষে জামিন না দিলেও জেলগেইটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেওয়া হয়।

গত ৬ জানুয়ারি মতিউর রহমান ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রত্যেকটি মামলাতেই মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলায় মতিউরের সঙ্গে আসামি তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজও।

একটি মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে ১ কোটি ৫৩ লাখ ৬৩ হাজার ৬৯০ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন লায়লা কানিজ। সেইসঙ্গে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ও অসঙ্গিপূর্ণ ১৩ কোটি ১ লাখ ৫৮ হাজার ১০৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন ও মালিকানা ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন তিনি। এসব সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেছেন স্বামী মতিউর রহমান।

আরেকটি মামলায় আসামি করা হয়েছে মতিউরকন্যা ফারজানা রহমান ঈপ্সিতা, মতিউর রহমান এবং স্ত্রী লায়লা কানিজকে। এই মামলার এজাহারে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য প্রদান এবং ৫৩ কোটি ৪১ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়াও অন্যটি মামলায় মতিউরপুত্র আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব এবং মতিউর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণবের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে অসৎ উদ্দেশ্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যপ্রমাণসহ ৪২ কোটি ২২ লাখ ৫৮ হাজার ২৭১ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে বসুন্ধরার আবাসিক এলাকা থেকে মতিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই অস্ত্র আইনের মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে ১৮ জানুয়ারি তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত