হামজা চৌধুরীর পর এবার সোলেমান দিয়াবাতেকে জাতীয় দলে খেলানোর পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। হামজা চৌধুরী গত সপ্তাহে লন্ডনে পাসপোর্ট তৈরির জন্য বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়েছিলেন। সোলেমান দিয়াবাতের পাসপোর্ট তৈরির আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ শুরু করেছে বাফুফে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইংলিশ ফুটবলার হামজা মা রাফিয়া চৌধুরীর মাধ্যমে জন্ম নিবন্ধনের কাজ শেষ করেছেন। এরপর হামজা লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাসে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন। প্রথম দিনে কাজটা হয়নি যদিও। তুরস্কে ছুটি কাটিয়ে নতুন করে আবারও যেতে হচ্ছে লেস্টার সিটির তারকাকে।
হামজার পর মোহামেডান স্পোর্টিংয়ের মালির তারকা স্ট্রাইকার সোলেমান দিয়াবাতে বাংলাদেশ দলে খেলার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশে টানা ৫ বছর খেলার সময় পূর্ণ হওয়ায় বাফুফে তাকে নিয়েও কাজ করে যাচ্ছে। শুরুর ধাপ হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। ইমিগ্রেশন বিভাগে গত ৫ বছরের তথ্য দেখে পরবর্তী প্রক্রিয়ায় যাবে বাফুফে।
এই প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বলেন, “দিয়াবাতের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। তার কাছ থেকে আমাদের কিছু বিষয় জানার ছিল। যেমন এলিটার পাসপোর্ট নাইজেরিয়ার কর্তৃপক্ষের কাছে কাছে হ্যান্ডওভার করে বাংলাদেশের পাসপোর্ট নিতে হয়েছে। তিনি (দিয়াবাতে) জানিয়েছেন যে তিনি দৈত্ব নাগরিকত্ব নিতে পারবেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তার সনদের জন্য আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছি। ফিফার নিয়মানুযায়ি এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।”
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক দেশের ফুটবলের ইতিবাচক খবরের ব্যাপারে আশাবাদী, “আমরা দুই ফুটবলারের জন্যই কাজ করছি আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভালো খবর দিতে পারবো।”
হামজার বিষয়ে তিনি জানান, “ এরই মধ্যে ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরপর রাষ্ট্রদূত নিজে হামজার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। হামজার পরিবার এবার যখনই দূতাবাসে যাবেন তখন তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে। আমরাও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের মধ্যে রয়েছি। কাগজ নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। যেন দ্রুত তিনি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে পারেন আমরা সেই ব্যবস্থা করেছি।”
আগামী সেপ্টেম্বরে হামজার গায়ে দেখা যেতে পারে বাংলাদেশের জার্সি। এমনটাই আশা এই কর্মকর্তার, “হামজার একটা সুবিধা হচ্ছে তার মা বাংলাদেশি। ফলে তার ক্ষেত্রে বিষয়টা ভিন্ন। বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাওয়ার পর দৈত্ব নাগরিকত্বের জন্য তার আবেদন করতে হবে। এরপর তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন। আমরা ইতোমধ্যে সেই কাজও এগিয়ে রাখছি। আশা করছি আগামী সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোকে লক্ষ্য করেই কাজ করছি। আশা করি সেই উইন্ডোতে হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারবেন।”