ম্যাচে ১-১ সমতা। টাইব্রেকারেও সমতা ১১-১১। এরপর কি? শেষ পর্যন্ত হল টস! পরে ম্যাচ কমিশনার জানান তার ভুলে টস হয়েছে। এ নিয়ে তাই উত্তাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ইতিহাস অবশ্য বলছে টস হয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চ বিশ্বকাপেও। সেই দুটি ঘটনা স্মরণ করিয়ে দেয়া যাক।
১৯৫৪ বিশ্বকাপ, স্পেন-তুরস্ক
১৯৫৪ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে একটা গ্রুপে ছিল কেবল দুই দল। স্পেন প্রথম পর্বে তুরস্ককে হারায় ৪-১ গোলে। ফিরতি পর্বে তুরস্ক জিতে ১-০ ব্যবধানে। বেশি গোলের সুবাদে স্পেন বিশ্বকাপের টিকিট পেতেই পারত।
তবে দুই দলের প্লে-অফ আয়োজন করে ফিফা। নিরপেক্ষ ভেন্যু রোমে হওয়া সেই ম্যাচও ড্র ২-২ গোলে। এরপর টসের আয়োজন করে ফিফা। স্টেডিয়ামে কাজ করা এক শ্রমিকের ছেলের চোখ বেধে দিয়েছিল ফিফা। তারপর তাকে টুপি দিয়ে ঢাকা দুই দেশের নাম লেখা দুটি বল তুলতে বলা হয়। লুইগি ফ্রাঙ্কো তোলে তুরস্কের নাম। বাদ পরে যায় স্পেন।
১৯৯০ বিশ্বকাপ, নেদারল্যান্ডস-আয়ারল্যান্ড
সেবার গ্রুপ ‘এফ’ এ পয়েন্ট সমান হয়ে গিয়েছিল নেদারল্যান্ডস ও আয়ারল্যান্ডের। সমান ছিল মুখোমুখি লড়াই আর গোল গড়ও। তাই কোন দল দ্বিতীয় আর কারা হবে তৃতীয়? বিশ্বকাপ আয়োজনের সঙ্গে থাকা এক নারীকে তুলতে দেওয়া হয় ২ ও ৩ লেখা বল। দুইয়ে নাম উঠে আয়ারল্যান্ডের।
নকআউটে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ রোমানিয়াকে হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। আর নেদারল্যান্ডস হেরে গিয়েছিল শক্তিশালী জার্মানির কাছে। সেবার বিশ্বকাপের শিরোপাও জিতেছিল জার্মানি।
ইউরো সেমিফাইনালে টস
১৯৬৮ ইউরো সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ইতালি ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও গোল পায়নি দুই দল। তখন টাইব্রেকারের নিয়ম প্রচলিত হয়নি। তাই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয় টসে। আর টস জিতে ফাইনালের টিকিট পায় ইতালি।