দেশের সুপারশপগুলোয় পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
সোমবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। পলিথিন ও পলিপ্রপিলিনের তৈরি শপিং ব্যাগের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে এই বৈঠক করেন তিনি।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “আগামী ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপে কোনও ধরনের পলিথিন বা পলিপ্রপিলিনের ব্যাগ রাখা যাবে না এবং ক্রেতাদের দেওয়া যাবে না। বিকল্প হিসেবে সব সুপারশপে বা শপের সামনে পাট ও কাপড়ের ব্যাগ ক্রেতাদের জন্য রাখা হবে।”
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এক সপ্তাহের মধ্যে সব সুপারশপের সঙ্গে সভা করে পাটের শপিং ব্যাগের সরবরাহ নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে জানান উপদেষ্টা।
দেশে পলিথিন নিষিদ্ধের ঘোষণা এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০০২ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ সংশোধন করে পলিথিন উৎপাদন, আমদানি, বাজারজাতকরণ, বিক্রি, বিক্রির জন্য প্রদর্শন, মজুদ, বিতরণ, বাণিজিক উদ্দেশ্যে পরিবহন বা বাণিজিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
এই আইন অমান্যকারীদের জন্য কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড বা উভয় দন্ডের বিধানও রয়েছে।
আজকের বৈঠকে উপদেষ্টা জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সঙ্গে মিলে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিকল্প পরিবেশবান্ধব উপাদানে তৈরি পাটের ব্যাগ উৎপাদনকারীদের নিয়ে একটি মেলার আয়োজন করা হবে বলে। সেখানে সুপার শপ কর্তৃপক্ষ উৎপাদনকারীদের সঙ্গে চাহিদা এবং সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে পারবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, অন্যান্য মন্ত্রণালয় এবং সিএসডি বাজার, ইউনিমার্ট, চালডাল, হোলসেল ক্লাব, স্বপ্ন, আগোরা, মোস্তফা মার্ট, ডেইলি সুপার শপ, প্রিন্স বাজার লিমিটেড, শাপলা সুপার শপ, ইউনিমার্ট, আলমাস সুপার শপ, এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন-ইএসডিও সহ বিভিন্ন সুপার শপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।