মতিঝিলের বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকেই জড়ো হতে শুরু করে ফুটবল সমর্থক গোষ্ঠী বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস গ্রুপ। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন ও নারী কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তারের পদত্যাগের দাবিতে শনিবার “মার্চ টু বাফুফে” কর্মসূচী ঘোষণা দেয় তারা। এই গ্রুপের পূর্বঘোষিত কর্মসূচীর মধ্যেই বাফুফে ভবনে অবস্থিত জাতীয় নারী ফুটবল দলের আবাসিক ক্যাম্প রবিবার থেকে ১০ দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
বাফুফে ভবনে জাতীয় ও বয়সভিত্তিক মিলিয়ে প্রায় ৫০ জন নারী ফুটবলার থাকেন। এদের মধ্যে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন, মারিয়া মান্দা, মনিকা চাকমা ও ঋতুপর্ণা চাকমা সোমবার যাচ্ছেন ভুটানে। সেখানে রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলবেন এএফসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে। বাকিরাও ক্যাম্প ছেড়ে বাড়ি চলে যাবেন।
বাফুফে সভাপতির পদত্যাগের দাবিতে আলট্রাসের সমর্থকেরা অবশ্য এদিন খুব বেশি জড়ো হতে পারেনি। প্রথমত মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংকে গোলাগুলির কারণে সমর্থকদের একাংশকে বাফুফে ভবনে আসার পথেই ফিরিয়ে দেয় গ্রুপটি। বাকি শখানেক যাও ছিল, বৃষ্টির কারণে তারাও খুব বেশি আন্দোলন জমিয়ে তুলতে পারেনি।
এক পর্যায়ে দুপুর ২টার দিকে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার বাফুফে ভবনের বাইরে এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেন, যেন এই আন্দোলন তারা আর না চালিয়ে যান।
যদিও বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাসের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অনড়। তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমাদের এক দফা, এক দাবি- সালাউদ্দিন ও কিরণের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে।”
বাফুফে সাধারণ সম্পাদক ফুটবলের স্বার্থেই আন্দোলন বন্ধ করতে অনুরোধ করেছেন এই গ্রুপকে, “আমি দেশবাসী ও ফুটবলপ্রেমী যারা আছে তাদের সবাইকে বলতে চাই, দয়া করে আমাদের সামনে ৫টা টুর্নামেন্ট রয়েছে। এছাড়া সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ আছে। আমাদের সামনে দলবদলের কার্যক্রম রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দলবদলের সময় বাড়াতে। ফিফার কাছে এরই মধ্যে আবেদনও করেছি। সব মিলিয়ে কোনও কারণে যদি এই মৌসুমে ফিফা থেকে সাসপেন্ড হয় বাংলাদেশ তাহলে ফুটবলাররা ক্ষতির সম্মুখিন হবে। আপনারা সবাই যেহেতু ফুটবলকে ভালোবাসেন। ফুটবলকে ভালোবাসেন বলেই এসেছেন এখানে। ওই জায়গা থেকে বলব, বাইরের কোনও রকম হস্তক্ষেপ যেন এখানে না আসে।”
তিনি যোগ করেন, “বাফুফেকে নিজস্ব গতিতে চলতে দেওয়া উচিত। যেহেতু ২৬ অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন। সেখানে নির্বাচনী প্রক্রিয়া মেনে নির্বাচন করার সব সুযোগ তাদের সামনে রয়েছে। কারও যদি কোনও দাবি থাকে তারা আসুক, গণতান্ত্রিকভাবেই বাফুফের দায়িত্ব নিক।”