কাজের বদলে অকাজ করে দেশে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি না করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রয়োজনীয় কাজ না করে কেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে সরাতে সরকারের সব ব্যস্ততা, সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
সোমবার দুপুরে ঢাকার আজিমপুরে ডেঙ্গু সচেতনতা বিষয়ক এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন রিজভী।
তিনি বলেন, “আপনারা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল করেছেন সেইখানে অনেকের বিচার হবে। কিন্তু আমরা যদি কাজের বদলে অকাজে বেশি লিপ্ত হয়ে পড়ি, রাজনৈতিক শূন্যতা বা সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি করি, তাহলে তো জনগণ কথা বলা শুরু করবে।
“আজকে রাষ্ট্রপতি থাকলে কী থাকল না এইটা নিয়ে আমরা দেশে কেন জটিলতা তৈরি করছি? কেন আমরা দেশে সংকট ডেকে নিয়ে আসব? এটা মুখ্য বিষয় নয়। আমরা শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে তাড়িয়েছি। এখন তার দোসরদেরকেও আইনের আওতায় নিয়ে এসে বিচার করা হচ্ছে আমাদের দায়িত্ব।”
এসময় উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদারের নিয়োগ নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রিজভী। তিনি বলেন, “আলী ইমাম মজুমদার যিনি ১/১১ এর সময় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন, শেখ হাসিনার আমলেও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন তাকে আপনারা উপদেষ্টা বানিয়েছেন, এইরকম তো অনেকেই রয়েছেন। এসব বিষয়ে আপনারা তো কিছু বলেন না!”
যারা শেখ হাসিনার ‘তাবেদারি’ করেছে, যে গণমাধ্যমগুলো শেখ হাসিনার দোসর হিসেবে পরিচিত ছিল তাদের নিয়ে কথা না বলে কেন কেবল রাষ্ট্রপতিকে নিয়ে কথা হচ্ছে, সে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
রিজভী বলেন, “গণতন্ত্রের যাত্রাপথে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের অবদান এদেশের মানুষ ইতিহাসে লিখবে। একটা সোনালী অধ্যায় রচিত হবে। কিন্তু আবেগের বশে আমাদের এমন কিছু করা যাবে না যাতে সংবিধান বহির্ভূত কোনও কিছু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
“ছাত্রজনতার আন্দোলনের পরে আমরা কিছুটা হলেও নিঃশ্বাস নিতে পারছি। কিন্তু এই আন্দোলন যেন আমাদের অতিরঞ্জিত কিছু করার কারণে কোনভাবেই ব্যর্থ না হয় সেজন্য সবাইকেই সতর্ক থাকতে হবে।”
এসময় বিএনপি’র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।