ভারতের বিপক্ষে একটা জয়ে বদলে গেছে পুরো বাংলাদেশ নারী দলের চেহারা। সবাই হাসিখুশি। ফুরফুরে মেজাজে কাঠমান্ডুর দি সোলটি টিম হোটেলে ঘুরছেন। অথচ দুদিন আগেও এই দলটা নিয়ে কত নেতিবাচক সমালোচনা। দলের মধ্যে গৃহদাহ। অন্তঃকোন্দলে জেরবার দলে জুনিয়র আর সিনিয়রদের মধ্যে রয়েছে সিন্ডিকেট।
সেই সমালোচনার জবাব মাঠের পারফরম্যান্স দিয়ে ভালোভাবেই দিয়েছেন সাবিনা খাতুনেরা। এরপর বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক এসব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
জুনিয়রদের সবচেয়ে বেশি স্নেহ করেন ক্যাম্পে থাকা সিনিয়ররা। সেই স্নেহ আর ভালোবাসার বর্ণনা দিতে গিয়ে সাবিনা বলেন, “এটা মিডিয়া থেকে তৈরি হয়েছে। কিন্তু তা হওয়া উচিত ছিল না। সিনিয়র-জুনিয়র সিন্ডিকেট কথাটা এসেছে। তাদেরকে (জুনিয়রদের) নাকি চাপে রাখা হয়। ছুটি থেকে আসার সময় সিনিয়ররা বাসা থেকে এলে তাদের জন্য খাবার আনা হয়। ভালো রেঁস্তোরায় গেলে তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়গুলো যদি আপনাদের মনে হয় সিন্ডিকেট, তাহলে এটা সিন্ডিকেট। আমার মনে হয় তাদের অনেক স্নেহ করা হয়। এখন আপনারা তাদের সঙ্গে কথা বলবেন। টুর্নামেন্ট শেষে ওরা বাড়ি ফিরলেও কথা বলেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি আরও পরিষ্কার হবে।”
সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব কি তাহলে ভালো খেলতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে? সাবিনার কথা, “তর্ক-বিতর্ক থাকবেই। তা থাকলে চ্যালেঞ্জ নেওয়া যায়। ভালো করা যায়। আমি তা সবসময় এসব ভালোভাবে নিই। ইতিবাচকভাবে নিই। আমাদের কোথাও দুর্বলতা আছে বলেই বিতর্ক হয়। ওই জায়গা থেকে নিজেদের উন্নতি করার জন্য একটা চ্যালেঞ্জ থাকে।”
অনেক সময় সিনিয়র ফুটবলরারা বিতর্ক ইতিবাচকভাবে নিতে পারেন। কিন্তু জুনিয়রদের এসব নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন সাবিনা, “বিতর্কটা হয়তো আমি নিতে পারবো। তবে তা সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আমি হয়তো তা নিতে পারবো। আমার যারা জুনিয়র আছে, তারা হয়তো নিতে পারবে না। তাদের মনেরও বিষয় আছে। তারা দুঃখ পায়। বিতর্ক হলে তা ইতিবাচক হোক, যেন মেয়েরা ভালো করতে পারে।”