Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

দল নির্বাচনে থাকবে না ‘পাপন স্টাইল’

নাজমুল হাসান পাপনের এই গ্যারেজ থেকে এসেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
নাজমুল হাসান পাপনের এই গ্যারেজ থেকে এসেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
[publishpress_authors_box]

মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামকে বলা হয় হোম অব ক্রিকেট। অথচ দেশের ক্রিকেটের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে গুলশান-২ এর ১০৮ নম্বর সড়কের একটি বাড়ির গ্যারেজ থেকে।

এই গ্যারেজ কালে কালে হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের অংশ। এই গ্যারেজে বসেই টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন মুমিনুল হক। এই গ্যারেজে বসেই ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়ার ঘোষণা দেন তামিম ইকবাল। বিশ্বকাপের অধিনায়ক হবেন সাকিব, সেই ঘোষণাও ওই গ্যারেজ থেকে এসেছে।

যে গ্যারেজটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সদ্য সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসভবনের নিচতলায় অবস্থিত। মিরপুরে বিসিবির সংবাদ সম্মেলন কক্ষ থাকলেও বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত এসেছে ওই গ্যারেজ থেকে। বিশ্ব ক্রিকেটের সব পেশাদারিত্বকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যেসব সিদ্ধান্ত সেখান থেকে নিতেন নাজমুল হাসান।

বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান। ছবি: সংগৃহীত।

শুধু এমন অনিয়মই না, যে কোন কিছু হলেই সব নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ক্রিকেটাররা ফোন দিতেন সাবেক বিসিবি সভাপতিকে। দল নির্বাচনেও যেন নির্বাচকদের সেভাবে ভূমিকা থাকতো না। এমনকি ম্যাচ অ্যানালিসিসটাও করে দিতেন নাজমুল হাসান।

কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটের অনিয়মের সেই ‘পাপন স্টাইল’ এখন থেকে আর থাকবে না। প্রথম দিনে বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব বুঝে নিয়েই ফারুক আহমেদ বললেন, “কাল রাতে ঘুম হয়নি। আজকে ঘুমাইতে পারব কিনা- এসব নিয়ে আলাপ হবে না আমার কাছে। ক্রেডিবিলিটি বলছি না আমি। আমি সাবেক অধিনায়ক। তখন সংবাদ সম্মেলন সামলেছি। আমি ৪ বছর প্রধান নির্বাচক ছিলাম। তখন সংবাদ সম্মেলন সামলেছি। এরপর ৩ বছর প্রধান নির্বাচক ছিলাম। তখনও করেছি সংবাদ সম্মেলন। তাই আমি আমার সীমানা খুব ভালোভাবে জানি। কোন ব্যাপারে কথা বলা দরকার, কোন ব্যাপারে দরকার নেই।”

বিসিবিতে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন নতুন সভাপতি ফারুক আহমেদ। ছবি: সকাল সন্ধ্যা।

এমনও দেখা গেছে দলে কে থাকবেন, কে থাকবেন না- সেই সিদ্ধান্ত নিতেন নাজমুল হাসান। এতে নির্বাচকরাও অনেক সময় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারতেন না। কিন্তু এই ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন ফারুক আহমেদ, “এটা আমি নিশ্চিত করতে পারি। আগে অনেক সময় কথা বলেছি যে নির্বাচকদের স্বাধীনভাবে কাজ করা দরকার। তাদের স্বাধীনতা দরকার । আমি বোর্ড সভাপতি হিসেবে নির্বাচকদের সর্বোচ্চ স্বাধীনতা দেওয়ার চেষ্টা করব।”

তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার উঠে আসছে না। অনেক সময় খেলার জন্য চেয়েও বিসিবি থেকে বল পাননি জেলার ক্রিকেটাররা। অথচ বিপিএলে কোটি টাকা খরচ করে শিল্পী এনে কনসার্ট করা হয়। এই অনিয়মগুলো এখন থেকে আর চলবে না বলে জানালেন ফারুক আহমেদ, “ আমি জানি এখানে প্রচুর অনিয়ম হয়েছে। চেষ্টা থাকবে এগুলো দূর করার। ১২ বছরে যে অন্যায়ের সিস্টেম চলে এসেছে এটা তো এক দিনে বদলানো সম্ভব না। এটাকে পৃষ্ঠপোষকতা করতে করতে ফ্রাঙ্কেনস্টাইন হয়ে গেছে। এটা রাতারাতি দূর করা সম্ভব না। যেহেতু এখন লোকবল কম তাই যেগুলো সরাসরি ক্রিকেটের উন্নতিতে প্রভাব ফেলবে সবার আগে সেখানে হাত দিতে চাই।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত