অধিকৃত পশ্চিম তীরে একদল কিশোরের ওপর গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী। এতে ১৪ বছরের এক ফিলিস্তিনি-আমেরিকান কিশোর নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে কমপক্ষে আরও দুই কিশোর।
ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রবিবার পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ শহরের উত্তর-পূর্বে তুরমুস আয়া এলাকায় কয়েকজন কিশোরকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় ইসরায়েল। এ ঘটনায় নিহত কিশোরকে শনাক্ত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তার নাম ওমর মোহাম্মদ রাবি।
পশ্চিম তীরে ১৪ বছরের একজন কিশোরকে হত্যার যুক্তি হিসেবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, তুরমুস আয়ায় একটি মহাসড়ক লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ায় একজন ‘সন্ত্রাসীকে’ তারা হত্যা করেছে।
ফিলিস্তিনের গাজায় গত ১৮ মাস ধরে হত্যাযজ্ঞ চালানোর পাশাপাশি সম্প্রতি পশ্চিম তীরে হামলা শুরু করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
তার নির্দেশে চালানো এই হামলায় এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ৯৯ জন। এদের মধ্যে ১৭ জন শিশু বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ওয়াফার প্রতিবেদনে বলা হয়, পশ্চিম তীরে কিশোরদের ওপর ইসরায়েলের গুলি চালানোর ঘটনায় যে দুজন আহত হয়েছে, তাদের একজনের বয়স ১৪, আরেকজনের ১৫।
তারাও ফিলিস্তিনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। তাদের পেটে ও ঊরুতে গুলি লেগেছে। ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির (পিআরসিএস) সদস্যরা তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহত কিশোর দুজনকে দেখতে হাসপাতালে যান পশ্চিম তীরের রামাল্লাহ ও আল-বিরেহ শহরের গভর্নর লাইলা গানেম।
সেখানে তিনি কিশোরদের ওপর ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “প্রাণঘাতী এই হামলা ইসরায়েল রাষ্ট্রের সংগঠিত সন্ত্রাসবাদের প্রেক্ষাপটে সংঘটিত হয়েছে।
“ফিলিস্তিনিদের পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনি শিশুদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।”
এদিকে এই হামলার বিষয়ে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “পশ্চিম তীরের তুরমুস আয়া এলাকায় সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সময় ইসরায়েলি সেনারা তিনজন সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত করে, যারা মহাসড়কের দিকে পাথর নিক্ষেপ করছিল।
“তাদের এই কর্মকাণ্ড মহাসড়কটিতে চলাচলরত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য বিপজ্জনক ছিল।”