Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫

আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঘোরতর মানবাধিকার লঙ্ঘন : টিআইবি

গাবতলী বাস টার্মিনাল।
শিক্ষার্থীদের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রথম দিনে ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনাল। ছবি : হারুন অর রশীদ
[publishpress_authors_box]

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশে ঘোরতর ও ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে বলে মনে করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

রবিবার শিক্ষার্থীদের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচি ঘিরে সহিংসতা চলার মধ্যে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এই মত প্রকাশ করে। সেইসঙ্গে বলেছে, বাক স্বাধীনতা ও মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এক নৈরাজ্যপূর্ণ ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে দেশে।

টিআইবি মনে করে, মানবাধিকার, ন্যায় বিচার ও সুশাসন নিশ্চিতে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া দরকার।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন শুরু হয়, সংঘাত-সহিংসতায় দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানির পর তা এখন সরকার পতনের আন্দোলনে গড়িয়েছে।

এই সময়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে দেশের ৪৫টি এলাকায় টিআইবি একসঙ্গে মানববন্ধন করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

এতে বলা হয়, “সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, অহিংস, যৌক্তিক ও অরাজনৈতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সহিংসতায় দুই সপ্তাহ ধরে দেশে নজিরবিহীন ও নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধারাবাহিক বেআইনি নির্যাতন ও নিপীড়ন চালানো হয়েছে।

“সেইসঙ্গে বাছবিচারহীন মামলা-যথেচ্ছ হামলা, ব্লকরেইড করে নির্বিচারে গণগ্রেফতার, অবৈধ রিমান্ড, নিরাপত্তা দেবার নাম করে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আটক ও নির্যাতন, হুলিয়া-পরোয়ানা, অনলাইন-অফলাইন হুমকিসহ সংবিধান, বাক্স্বাধীনতা ও মানবাধিকারবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এক নৈরাজ্যপূর্ণ ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।”

শুধু রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন থানায় ২ লাখ ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করে ২০০ মামলা দায়েরের উল্লেখ করে টিআইবি বলছে, “সমস্ত নৈতিকতা ও বিবেকবোধ বিসর্জন দিয়ে অনেককে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হচ্ছে।”

টিআইবি বলছে, দেশে জবাবদিহিহীন কার্যক্রমকে বৈধতা ও মূল অপরাধীদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য ‘অসত্য বয়ান ও নিরেট মিথ্যাচার’ করা হচ্ছে, যে কারণে উদ্বেগ, শঙ্কা ও আস্থাহীনতা আরও গভীর হয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ আরও বেশি রুদ্ধ হয়েছে।

সুশাসনের ঘাটতি, সীমাহীন দূর্নীতিগ্রস্থ শাসনব্যবস্থা এবং একচ্ছত্র ক্ষমতার দম্ভ এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে বলে সংস্থাটি মনে করে।

এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কিছু সুপারিশ দিয়েছে টিআইবি। তার মধ্যে রয়েছে নজিরবিহীন ও নির্মম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক তদন্ত নিশ্চিতে জাতিসংঘের উদ্যোগে স্বাধীন কমিশন গঠন ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাবার জন্য জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উদ্যোগ নিতে হবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত