নামের পাশে ৬টি চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা! এমন কিছু স্বপ্নেও ভাবেননি টনি ক্রুস। জার্মান এই কিংবদন্তি এই মৌসুম শেষে তুলে রাখবেন বুট জোড়া। ইউরো তার শেষ টুর্নামেন্ট। এর আগে রিয়ালের হয়ে কাল (শনিবার) জিতলেন নিজের ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা।
চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে ছয় শিরোপা আছে আর কেবল চার জনের। এর তিনজন মদরিচ, নাচো ও কারভাহাল ক্রুসের সঙ্গেই ফাইনাল খেলেছেন ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে। অপর জন পাকো হেন্তো জিতেছিলেন সেই ’৬০ এর দশকে।
৬টা চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে কি বিদায় নিতে পারবেন? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নে ক্রুস বললেন,‘‘অসাধারণ। চ্যাম্পিয়নস লিগে ছয় শিরোপা জেতা আসলে পাগলামি। এটা এমন কিছু যা অর্জন করতে পারব বলে কখনও ভাবিনি।’’
৮৫ মিনিটে ক্রুসকে তুলে নেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি। কারভাহালের প্রথম গোলের অ্যাসিস্ট করা এই তারকা তখন বুকে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছিলেন রিয়ালের ব্যাজ। বোঝাচ্ছিলেন কতটা ভালোবাসেন রিয়ালকে। এভাবেই ক্লাবের হয়ে শেষবারের মতো ছেড়ে যান মাঠ।
ম্যাচ শেষে ক্রুসকে শূন্যে ছুড়ে উৎসবে মেতেছিলেন সতীর্থরা। রিয়ালের হয়ে ৪৬৫ ম্যাচ খেলে ২৩টি ট্রফি জিতেছেন ক্রুস। পাস দিয়েছেন ৩৪ হাজার ৯১টি। সুযোগ তৈরি করেছেন ৯৭৪টি। অ্যাসিস্ট ৯৩, গোল ২৮টি।
চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে কখনও হারেননি ক্রুস। শুধু তিনি নন, ১৯৮১ সালের পর রিয়ালও হারেনি ৯ ফাইনালের একটিও। এই মানসিকতাটাও ক্রুসের কাছে পাগলামি, ‘‘এইসব ম্যাচে দেখিয়েছি আমরা হারতে জানি না। অবশ্যই এটা দলের ভালো মানের জন্যই সম্ভব তবে এই যে হার না মানার মানসিকতা, এটা পাগলামি ছাড়া আর কি। এটা নিজেদের ওপর কখনও বিশ্বাস না হারানো, যা অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে রিয়ালকে। এভাবে বিদায় নেওয়াটা পরিকল্পনা ছিল আমার (চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে)। যদিও এমন পরিকল্পনা করা কঠিন সবসময়!’’
ক্রুসের যেখানে শেষ সেখান থেকেই শুরু জুড বেলিংহামের। রিয়ালে প্রথম মৌসুমেই জিতলেন চ্যাম্পিয়নস লিগ। তার বাবা-মা গ্যালারিতে থেকে উপভোগ করেছেন ফাইনাল। বাবা-মায়ের সামনে এমন সাফল্য নিয়ে বেলিংহাম বললেন, ‘‘এটা আমার জীবনের সেরা রাত। এই মৌসুমে লা লিগাও জিতেছি। হতাশা বলতে শুধু কোপা দেল রে না জেতা। তারপরও এর চেয়ে ভালো স্বপ্ন দেখতে পারতাম না।’’