প্রস্তাবিত বাজেটে সেন্ট্রাল এসির ওপর ৪৯ শতাংশ শুল্ক বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে, যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (ব্রামা)। তাদের আশঙ্কা, এই প্রস্তাব পাস হলে সেন্ট্রাল এসির দাম অনেক বেড়ে যাবে, এতে তাদের বিক্রি কমে ব্যবসায় বিপর্যয় নেমে আসতে পারে।
বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে সংগঠনটির বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন ব্রামার প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান।
আসাদুজ্জামান বলেন, প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে সেন্ট্রাল এয়ার কন্ডিশনিং (ভিআরভি/ভিআরএফ) সিস্টেমে শুল্কায়নের জন্য এইচএস কোড বদল করার প্রস্তাব করা হয়েছে (এইচএস কোড ৮৪১৫.১০.১০ থেকে (ভিআরভি/ভিআরএফ) সিস্টেমে পরিবর্তন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদ্যমান কোডে শুল্কায়ন করা হয় মাত্র ১১ শতাংশ। নতুন কোডে শুল্ক দিতে হবে ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রস্তাব পাস হলে এই খাতে শুল্কের পরিমাণ প্রায় ৪৯ শতাংশ বেড়ে যাবে। এতে সেন্ট্রাল এসির দাম ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়ে যাবে।
তিনি বলেন, “এই প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে এই খাতে আমদানি ও ব্যবসায়িক কার্যক্রমে বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। সেন্ট্রাল এসির দাম বেড়ে গেলে সরকারি বেসরকারি ভবন নির্মাণের ব্যয়ও বেড়ে যাবে।
“এর ফলে এই পণ্যটির বিক্রি ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে এবং সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আহরণ থেকে বঞ্চিত হবে।”
প্রস্তাবিত বাজেটে স্থানীয় পর্যায়ে এয়ারকন্ডিশন উৎপাদনের ক্ষেত্রে শূন্য শতাংশের পরিবর্তে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ মূসক আরোপের প্রস্তাব করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশের অনেক কোম্পানি এসব এসি আমদানি করার জন্য বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছেন। এই শিল্পের সঙ্গে প্রায় লক্ষাধিক মানুষ জড়িত। পাশপাশি দেশে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক মানের ব্র্যান্ডের এসি প্রচলিত রয়েছে, যার অধিকাংশই আগের সিস্টেমের।
নতুন প্রস্তাব পাস হলে এসি খাতের প্রসার মুখথুবড়ে পড়বে এবং বিনিয়োগকারীরা দেউলিয়া হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রামার ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আকরাম হোসেন, পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হোসেন, উপদেষ্টা এমএ সাঈদ বাবুল।