Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

দার্জিলিংয়ে ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১৫

India_Train_Accident
[publishpress_authors_box]

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে যাত্রীবাহী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৫০ জন।

সোমবার সকাল ৯টার দিকে দার্জিলিংয়ের নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আনন্দবাজার।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতার শিয়ালদহ থেকে দার্জিলিং-জলপাইগুড়ি-আসাম হয়ে ত্রিপুরার আগরতলা যাচ্ছিল।

দার্জিলিংয়ের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা অভিষেক রায় রয়টার্সকে বলেছেন, বিধ্বস্ত ট্রেনের কামরাগুলো থেকে অন্তত ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সরকারিভাবে এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯ জন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রেনটির দুটি বগি লাইনচ্যুত হওয়াসহ মোট তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে মালবাহী ট্রেনটির চালক, চালকের সহকারী এবং কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের রক্ষীরাও রয়েছেন।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনের অংশে যাত্রীদের মালবাহী এবং রক্ষীদের কামরা থাকায় হতাহত কম হয়েছে। সামনের যাত্রীবাহী বগিগুলোতে খুব বেশি আঘাত লাগেনি। তবে একটি যাত্রীবাহী কামরা দুমড়েমুচড়ে গেছে।

আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে সোমবার সকালে নির্ধারিত সময়েই রওনা দিয়েছিল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস। নীচবাড়ি এবং রাঙাপানি স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনা ঘটে। পেছন দিক থেকে একটি মালগাড়ি এসে ওই ট্রেনে ধাক্কা মারে। সংঘর্ষের তীব্রতায় কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পিছন দিক থেকে পর পর দুটি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশে ছিটকে পড়ে।

দুর্ঘটনার পরপরই এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে উদ্বেগ প্রকাশ করে পোস্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, “এই মাত্র দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনার খবর পেলাম। বিশদে এখনও জানতে পারিনি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে মালগাড়ি ধাক্কা মেরেছে শুনেছি। জেলাশাসক, এসপি, চিকিৎসক এবং অ্যাম্বুল্যান্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হচ্ছে।”

রেলওয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া ভার্মা সিনহা বিকালের দিকে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উদ্ধার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। আহতদের উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়েছে এবং তাদের সম্ভাব্য সর্বোত্তম চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের সামনের অংশ অক্ষত থাকায় শিগগিরিই ট্রেনটির অগ্রযাত্রা আবার শুরু হবে যাতে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে জয়া ভার্মা জানান, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, মালবাহী ট্রেনের চালকের ভুলের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। চালক সিগনাল অমান্য করেছিলেন।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রতিদিনি পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের শিলচর এবং ত্রিপুরার আগরতলায় যাতায়াত করে। এই রুটটি চিকেনস নেক করিডরের মধ্য দিয়ে গিয়েছে, যা ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশকে দেশটির বাকি অংশের সঙ্গে যুক্ত করে।

পর্যটকরা প্রায়ই দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ব্যবহার করে। দুর্ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন কলকাতা এবং প্রতিবেশী দক্ষিণবঙ্গে তীব্র গরম পড়ছে এবং অনেকে কিছুটা স্বস্তির জন্য পাহাড়ি জেলাটিতে ভ্রমণ করছেন।

তথ্যসূত্র: এনডিটিভি, রয়টার্স, আল জাজিরা, আনন্দবাজার পত্রিকা

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত