আন্দোলন আর সরকার পতনের পর ২৫ দিন বাদে যাত্রীবাহী ট্রেন আবার স্বাভাবিকভাবে চলতে শুরু করবে।
আগামী ১৩ আগস্ট থেকে সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে বলে রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ১৮ জুলাই সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ১ আগস্ট কিছু ট্রেন চলাচল শুরু হলেও তিন দিন পর আবার তা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর ব্যাপক সহিংসতার মধ্যে আন্দোলন আরও তীব্র হলে ৫ অগাস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার তিন দিন পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্ব অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হয়। তারও পাঁচ দিন পর সচল হচ্ছে ট্রেন।
রেলের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ আগস্ট সোমবার থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট সোমবার বিকাল ৫টা থেকে কেনা যাবে।
তবে আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি আন্তঃনগর ট্রেন আপাতত চলাচল করবে না বলে জানান তিনি। সেগুলো হচ্ছে- পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের সহকারী প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (এসিওপিএস) কামাল আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ১৯ জুলাই থেকে গত ৫ আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের কোচে অগ্নিসংযোগ, কোচের দরজা ও জানালার গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটে।
জামালপুর এক্সপ্রেসের ৬টি কোচের জানালা, জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসের ১৩টি কোচের ৫৮টি জানালা ও ১৮টি দরজা এবং পারাবত এক্সপ্রেসের ১৬টি কোচের ১৪১টি জানালা ও ২৭টি দরজার কাচ ভাংচুর হয়।
চিঠিতে বলা হয়, বর্তমানে রেকগুলো আখাউড়া ও ময়মনসিংহে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কোচগুলো বেজ স্টেশন এবং পাহাড়তলী শেডে পাঠিয়ে মেরামত করতে হবে, যা সময়সাপেক্ষে ব্যাপার।