বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, সরকার পরিবর্তনসহ নানা কারণে টানা ১০ দিন বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার থেকে আবারও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লোকাল, কমিউটার, মেইল ট্রেন নির্দিষ্ট গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হয়। তবে যাত্রী খুব একটা ছিল না।
রাজধানীর কমলাপুরে ঢাকা রেলস্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “সকাল থেকে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী কয়েকটি ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে। দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, বলাকা, নারায়ণগঞ্জ কমিউটার, তুরাগ, কর্ণফুলী, মহুয়া এক্সপ্রেস এবং তিতাস কমিউটার সকালে ঢাকা ছেড়েছে। কমলাপুরে নির্ধারিত সময়ে ট্রেনগুলো এসেছে।
“১৫ আগস্ট থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। কিছু যাত্রী আগাম টিকেট কাটতে আসছেন। আজ মেইল, লোকাল ও কমিউটার ট্রেনগুলোর আসন পূর্ণ রয়েছে। তবে এ ধরনের ট্রেনে যেভাবে উপচেপড়া যাত্রী থাকে তেমনটি নেই। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রী সংখ্যা বাড়বে।”
গত ১৬ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কারণে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় রেলপথ অবরোধের কারণে ট্রেন চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়।
১৮ জুলাই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির দিন দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সেদিন দুপরের পর দেশের বিভিন্ন রুটের ট্রেনের সব যাত্রা বাতিল ঘোষণা করা হয়।
এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর ২৫ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে ট্রেন চালুর ঘোষণা দিয়েও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সেদিন কোনো ট্রেন চালু করেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় রেলপথ মন্ত্রণালয়।
১ অগাস্ট স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ৩ অগাস্ট শনিবার আবারও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এর পর ১১ আগস্ট রবিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মো. নাহিদ হাসান খাঁন জানান, ১২ আগস্ট থেকে মালবাহী ট্রেন, ১৩ আগস্ট থেকে মেইল, এক্সপ্রেস, লোকাল, কমিউটার ট্রেন চলাচল করবে। পারাবত ও জামালপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সোমবার বিকেল ৫টা থেকে কেনা যাবে।