আসন্ন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের আকার ৮ লাখ কোটি টাকার বেশি হবে জানিয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জামান সরকার বলেছেন, আগামী বাজেটে যোগাযোগ ও পরিবহন খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ঢাকার শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
দেশের প্রতিটি অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিকাশের প্রয়োজন আছে জানিয়ে শহীদুজ্জামান বলেন, “আমি মনে করি, দেশের যোগাযোগ খাতে আরও উন্নয়ন দরকার।”
দেশের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা সবসময় দেশের সার্বিক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছি। সারাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে। আর্থিকভাবে দেশ ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। আমরা উন্নয়নকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি। আপনারা দেখবেন, সারা বিশ্বে মন্দা চলছে। করোনাসংকট ও ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতেও আমাদের উন্নয়ন থেমে নেই। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।”
সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার আরও বাড়ানো হবে জানিয়ে শহীদুজ্জামান বলেন, “বর্তমানে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আকার ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। নতুন বাজেটে এই আকার আরও বাড়ানো হবে।”
তৃতীয় পদ্মা সেতুর জায়গায় টানেল নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা তৃতীয় পদ্মাসেতুর বদলে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় টানেল নির্মাণের চিন্তাভাবনা করছি। ওইদিকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থেকে গাইবান্ধা পর্যন্ত আরেকটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনাও আমাদের রয়েছে। এটা যমুনা নদীর তলদেশ দিয়ে হবে। কর্ণফুলী টানেল এখন স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা।”
কৃষিপণ্য সংরক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কৃষিজাত পণ্য সঞ্চয়ের জন্য সাইলো গুরুত্বপূর্ণ। আমরা অনেক সাইলো নির্মাণ করছি। পাশাপাশি কিছু খাদ্যগুদামও সংস্কার করা হচ্ছে। এতে খাদ্য নিরাপত্তা আরও শক্তিশালী হবে। এই বিষয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। সামনে আরও অনুমোদন দেব। আলু সংরক্ষণকেও আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি।”
ডিজেএফবির যুগ্মসম্পাদক মফিজুল সাদিকের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি হামিদ-উজ-জামান, সহসভাপতি সানোয়ার সাইদ শাহীনসহ কয়েকজন।