ট্রাভেল এজেন্টদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, যারা নিয়ম ভাঙবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রবিবার এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের ট্যুরিজম ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ফারুক খান বলেন, “বর্তমান কানেক্টিভিটির এই পৃথিবীতে ট্রাভেল এজেন্টদের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তারা মানুষের যোগাযোগ করিয়ে দেয়। সুতরাং ট্রাভেল এজেন্টদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনও গ্রাহক যাতে প্রতারিত না হয়, বিদেশে যেতে কোনও সমস্যায় না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সিগুলোকে নিয়ে প্রায়ই নানা অনিয়ম ও অভিযোগের কথা শোনা যায়- একথা উল্লেখ করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী বলেন, “সবাইকেই নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে। নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
তিনি বলেন, “শুধু নিজেরা সৎ থাকলেই হবে না, অন্য কোনও ট্রাভেল এজেন্টও যাতে গ্রাহকদের কোনও প্রকার হয়রানি না করতে পারে সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।”
পর্যটন খাতে দক্ষ কর্মী গড়ে তোলার পরিকল্পনা করা হচ্ছে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, “পর্যটন খাতে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষতা তৈরির পাশাপাশি প্রশিক্ষণার্থীদের ভাষাগত দক্ষতা তৈরির দিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। তাদের এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে তারা পৃথিবীর যেকোনও জায়গায় কাজ করার জন্য উপযুক্ত হিসেবে গড়ে ওঠে।”
পর্যটন শিল্পে দক্ষ জনবল তৈরির বাংলাদেশে একটি ট্যুরিজম বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।
ট্রাভেল এজেন্টরা কানেক্টিভিটি বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন মন্তব্য করে ফারুক খান বলেন, “শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। আমাদের মূল লক্ষ্য জনগণের সেবা নিশ্চিত করা। জনগণের সেবার কাজে ট্রাভেল এজেন্টরা আমাদের সহযোগিতা করছেন, সমর্থন করছেন।
“আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবেন। সরকার আপনাদের সর্বতোভাবে পলিসি সাপোর্ট প্রদান করবে।”
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের মহাসচিব আসফিয়া জান্নাত সালেহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক ও আটাবের প্রেসিডেন্ট আবদুস সালাম আরেফ।
