নির্বাচনের আগে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে দ্বিতীয় বার হত্যার চেষ্টা কীভাবে মোকাবেলা করা যায়, তার কোনও রাজনৈতিক কৌশল জানা নেই। তারপরও যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী শিবিরগুলো এখন নিজেদেরকে তার মধ্যেই দেখতে পাচ্ছে।
রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে রবিবার দ্বিতীয়বারের মতো হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। নির্বাচনের আগে এমন ঘটনা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন। এর মধ্য দিয়ে দেশটির সমাজ ও রাজনীতিতে গভীর মেরুকরণের বিষয়টিই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দুবার একজন প্রধান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হত্যার মতো ঘটনা দেখার ট্র্যাজেডি থেকে রক্ষা পেল। এমন হত্যাচেষ্টা সফল হলে গভীরভাবে বিভাজিত একটি সমাজে যে তাণ্ডবলীলা শুরু হতে পারত, দেশটি তাও এড়াতে পেরেছে।
এই ধরনের ঘটনার মধ্য দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রের সহজলভ্যতায় তীব্র আকার ধারণ করা সহিংসতার যে চোরা স্রোত আমেরিকান রাজনীতিকে স্থায়ীভাবে আচ্ছন্ন করে রাখছে, তাই প্রকাশিত হয়।
এর ফলে প্রধান দুই দলের প্রার্থীই এখন খোলা ময়দানের সমাবেশে বুলেটপ্রুফ কাচবেষ্টিত হয়ে বক্তৃতা করেন। তবুও নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে যে, নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত এই প্রবল উত্তাল সময় দেশকে অন্ধকার পথে নিয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্র গত চার দশক ধরে শীর্ষ কোনও রাজনীতিবিদকে হত্যা বা হত্যাচেষ্টার মতো ঘৃণ্য ঘটনা থেকে মুক্ত ছিল। ট্রাম্পকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে চার দশকেরও বেশি সময় পরে দেশটির রাজনৈতিক সহিংসতার ইতিহাসের এক অন্ধকার অধ্যায় পুনরুজ্জীবিত হল। তার মানে, ফের যারা দেশটির সর্বোচ্চ পদের জন্য নিজেকে প্রস্তাব করবে তারাই নিজেদের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলবে।
ট্রাম্পের বন্ধু ও শত্রুদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
রবিবার ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম বিচে নিজের গলফ কোর্সে গলফ খেলার সময় ট্রাম্পকে গুলি করার চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। তবে ট্রাম্পের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিস সদস্যরা হামলার আগেই তাকে দেখে ফেলে এবং তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে ওই হামলাকারী তার বন্দুক ফেলে রেখেই পালিয়ে যান।
ট্রাম্প নিরাপদ থাকায় ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, তার রানিংমেট মিনেসোটার গভর্নর টিম ওয়ালজ এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ সকলেই দ্রুত স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ঘটনা সম্পর্কে জানার পর সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “আমি আনন্দিত যে তিনি নিরাপদ আছেন। আমেরিকায় সহিংসতার কোনও স্থান নেই।”
একটি আপাত হত্যা প্রচেষ্টার পরপরই এর রাজনৈতিক প্রভাব বিবেচনা করা হয়তো স্থূল মনে হতে পারে। তবে আমেরিকার সবকিছুই মুহূর্তের মধ্যেই রাজনৈতিক ইস্যুতে পরিণত হয়, বিশেষ করে নির্বাচনের আর মাত্র ৫০ দিন বাকি থাকায় তা আরও বেশি হয়।
গত ১৩ জুলাই পেনসিলভেনিয়ায় এক নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় প্রথমবার হত্যার চেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়েই হাত উঁচিয়ে ট্রাম্প বলেছিলেন- লড়াই! লড়াই! গত রবিবার দুপুরেও হামলা থেকে বেঁচে যাওয়ার পরপরই ট্রাম্প ইমেইলে তার সমর্থকদের লেখেন, “আমি নিরাপদ এবং ভালো আছি।”
ট্রাম্প লেখেন, “কিছুই আমাকে থামাতে পারবে না। আমি কখনোই আত্মসমর্পণ করব না!”
ট্রাম্পের নির্বাচনী তহবিলে অর্থ দান করার জন্য তৈরি একটি সাইটের সঙ্গে যুক্ত ইমেইলে ট্রাম্প এই বার্তা দেন।
ট্রাম্পের শীর্ষ মিত্রদের একজন নিউ ইয়র্ক থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য এলিস স্টেফানিক এক বিবৃতিতে বলেন, স্বয়ং ঈশ্বর ট্রাম্পকে ফের রক্ষা করেছেন।
প্রথম হামলায় বেঁচে যাওয়ার পর থেকেই রিপাবলিকানরা এই ধারণাটি বারবার প্রচার করে আসছেন।
স্টেফানিক বলেন, ঈশ্বর ট্রাম্পকে রক্ষা করছেন, তার মানে দেশের জনগণের দায়িত্ব এখন ট্রাম্পকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা।
“ধন্যবাদ, ঈশ্বর সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ওপর নজর রেখেছেন। আমেরিকান হিসাবে আমাদের অবশ্যই আমাদের প্রজাতন্ত্রকে রক্ষা করতে এবং বিশ্বে শান্তি ফিরিয়ে আনতে নভেম্বরে তাকে ভোট দিতে হবে।”
হাউস স্পিকার মাইক জনসনও রবিবার মার-এ-লাগো রিসোর্টে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার পর বলেছেন, ঐশ্বরিক হস্তক্ষেপেই ট্রাম্প রক্ষা পেয়েছেন এবং ট্রাম্প অপরাজেয়।
“আমেরিকার ইতিহাসে কোনও নেতাই একাধিক আক্রমণ থেকে রক্ষা পাননি এবং এত শক্তিশালী ও ঋজু থাকতে পারেননি। তিনি অপ্রতিরোধ্য।”
ঈশ্বর স্বয়ং ট্রাম্পকে রক্ষা করছেন এই অনুভূতি গত জুলাইয়ে মিলওয়াকি সম্মেলনে তার সমর্থকদের অনুভূতিকে সজীব করে তুলেছিল যে তিনিই বিজয়ের জন্য নির্ধারিত।
তবে বাইডেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর কমলা হ্যারিস ডেমোক্রেট প্রার্থী হওয়ায় এই অনুভূতিতে ভাটা পড়ে। কারণ বাইডেনের তুলনায় কমলা হ্যারিস জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যান।
সিক্রেট সার্ভিসের জন্য আরও প্রশ্ন
ফ্লোরিডার ওয়েস্ট পাম সৈকতে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল গলফ ক্লাবে ট্রাম্পকে আপাত হত্যার চেষ্টায় আটক ব্যক্তি সেখানে কীভাবে প্রবেশ করল এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এতে আবারও প্রমাণিত হল ট্রাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক রয়ে গেছে, যার মধ্য দিয়ে বারবার আততায়ীরা তার এতো কাছাকাছি চলে আসতে সক্ষম হচ্ছে।
স্টেফানিক প্রশ্ন তোলেন, “কীভাবে ফের আরেকজন সন্দেহভাজন ঘাতক সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে পৌঁছাতে পারল?”
রবিবার তিনি লিখেছেন, “পেনসিলভেনিয়ায় ভয়াবহ হত্যাচেষ্টার ঘটনার পর অনেক প্রশ্নেরই উত্তর পাওয়া যায়নি। আমরা আশা করি যে, ফ্লোরিডায় আজ যা ঘটেছে তার একটি স্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।”
নিউ ইয়র্কের রিপাবলিকান প্রতিনিধির এই প্রশ্ন তোলা সাবেক প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা নিয়ে আগামী দিনে বিতর্কের পূর্বাভাস দিচ্ছে।
ট্রাম্প ইতোমধ্যেই প্রমাণ ছাড়াই দাবি করেছেন, বাইডেন প্রশাসন এবং হ্যারিস পেনসিলভেনিয়ায় হত্যা প্রচেষ্টায় জড়িত ছিলেন। কারণ তারা তার বিরুদ্ধে বিচার বিভাগকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছেন। কিন্তু ট্রাম্পের সমস্ত ফৌজদারি মামলা আদালতের নিয়মিত আদেশের মাধ্যমে এগিয়েছে এবং হোয়াইট হাউস কোনওভাবেই জড়িত রয়েছে এমন কোনও প্রমাণ নেই।
ট্রাম্পকে দ্বিতীয়বারের মতো আপাত হত্যাচেষ্টা একটি অশান্ত নির্বাচনী প্রচারণার পটভূমিতে ঘটেছে। প্রচলিত রীতি-নীতি এবং ভবিষ্যদ্বাণীর বিপরীত ঘটনা ঘটেছে এবার।
১৯৬৮ সালের পর প্রথমবারের মতো কোনও ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট তার পুনঃনির্বাচনের প্রচার শুরুর পর তা গুটিয়ে ফেলেন। প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নের পর অনিচ্ছা সত্ত্বেও বাইডেন নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে তার ভাইস প্রেসিডেন্টের জন্য পথ ছেড়ে দেন। ফলে কমলা হ্যারিস একই সঙ্গে প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভুত হিসেবে ‘কমান্ডার ইন চিফ’ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
অন্যদিকে, রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থী ট্রাম্প একজন দণ্ডিত অপরাধী, যিনি গত নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ক্ষমতায় থাকার অভূতপূর্ব প্রচেষ্টার জন্য একাধিক অপরাধমূলক অভিযোগে মামলার মুখোমুখি হয়েছেন। ট্রাম্প যদি এবার হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন, তবে তিনি হবেন একমাত্র দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট যিনি মাঝখানে একবার হেরে তৃতীয়বারের মতো প্রার্থী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে জিতবেন।
আগামী দিনে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। প্রথম হত্যাচেষ্টার পর ট্রাম্প দেশকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। কিন্তু তার ঐক্যের অঙ্গীকার রিপাবলিকান ন্যাশনাল কনভেনশনে তার বক্তৃতার প্রথম তৃতীয়াংশের চেয়ে বেশি সময় স্থায়ী হয়নি, যা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তোলার বৈশিষ্ট্যগত বিভাজন চেষ্টায় পরিণত হয়েছিল।
সিনিয়র রিপাবলিকানরা ট্রাম্পকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, তিনি যেন সবসময় তার প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসের পেছনে লেগে না থাকেন। কিন্তু ট্রাম্প তার প্রচার দলের পরামর্শকেও বারবার উপেক্ষা করেছেন।
তারা ট্রাম্পকে বাইডেন প্রশাসনের অর্থনৈতিক নীতি নিয়ে সমালোচনা করার পরামর্শও দেন। কারণ মুদ্রাস্ফীতির হার কমলেও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবমূল্য কমেনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে ভোটারদের নজর কাড়া যেত। কিন্তু ট্রাম্প তাতেও কান দেননি।
তাই এমনকি যদি তার সহযোগীরা তাকে তার জাতীয় ঐক্যের ধারণা পুনর্নবায়নের পরামর্শও দেয়, ট্রাম্প তার রাজনৈতিক স্বার্থে এটি শুনবেন বা বিবেচনা করবেন তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই।
দ্বিতীয়বারের মতো হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা ট্রাম্পের উপর কিছুটা ব্যক্তিগত প্রভাবও ফেলতে পারে। পেনসিলভেনিয়ার হত্যাচেষ্টায় কানঘেঁষে গুলি বেরিয়ে যাওয়ার পরের দিনগুলোতে ট্রাম্পকে কিছুটা সংযত মনে হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন পরই তিনি তার চেনা রূপে ফিরে আসেন। এমনকি তার বক্তৃতাগুলোতে তিনি আরও চরমপন্থী হয়ে উঠেছেন।
সম্প্রতি ট্রাম্প তার রাজনৈতিক বিরোধীদের সতর্ক করছেন যে, ক্ষমতায় ফিরলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে আইন চালু করবেন এবং গত নির্বাচনে জালিয়াতির প্রমাণ পেলে তাদের জেলে পুরবেন। এসময় ট্রাম্প আগের চেয়ে দ্বিগুণ জোর দিয়ে দাবি করেন, গত নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি হয়েছিল।
রবিবারের ঘটনার পরপরই বেশিরভাগ ট্রাম্প বিরোধীদের মনোযোগ ছিল একটি অস্থির মুহূর্তে শান্ত থাকার দিকে। গণতন্ত্রে সহিংসতার মাধ্যমে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে স্তব্ধ করার চেষ্টার কোনো যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। পাশপাশি আগামী দিনগুলোতে সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতির বিভাজনে কতটা ইন্ধন যুগিয়েছেন তা নিয়েও বিতর্ক হবে।
উদাহরণস্বরূপ গত সপ্তাহে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং তার রানিংমেট জেডি ভ্যান্স রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলছিলেন। উভয় রিপাবলিকানই ভিত্তিহীনভাবে দাবি করেন যে, ওহাইওর স্প্রিংফিল্ডে হাইতিয়ান উদ্বাস্তুরা পোষা প্রাণী চুরি করে খাচ্ছে। ট্রাম্পের বিরোধীরা সতর্ক করেছে, যে তার ক্রমাগত জাতিবিদ্বেষী আচরণ অনেক মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে।
রবিবার সিএনএন-এর “স্টেট অফ দ্য ইউনিয়ন”-এ এক বিতর্কিত সাক্ষাতকারে ভ্যান্স জোর দিয়ে বলেন যে, হাইতিয়ান অভিবাসীদের সম্পর্কে দাবিগুলো তার নির্বাচনী এলাকা থেকে আসা অভিযোগের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে। অথচ একাধিক স্থানীয় কর্মকর্তাও সাক্ষ্য দিয়েছেন, ওই গুজবের কোনও সত্যতা নেই। ট্রাম্প গত শুক্রবারও হাইতিয়ান অভিবাসীদের ভেনেজুয়েলায় নির্বাসনে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন।
সাধারণ পরিস্থিতিতে একজন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হওয়ার পর তার প্রতি সহানুভূতি বাড়বে বলেই আশা করা যেত। এবং এতে তার প্রতি ভোটারদের সমর্থনও বাড়তে পারত। তবে ট্রাম্পের ওপর এই আপাত হত্যাচেষ্টার ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটেছে যখন কমলা হ্যারিসের সঙ্গে তার হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পূর্বাভাস মিলছে। দ্যোদুল্যমান রাজ্যগুলোতে তাদের ভোটের ব্যবধান মাত্র কয়েক হাজার হতে পারে। তবে এই ব্যর্থ হত্যাচেষ্টায় ট্রাম্পের প্রতি ভোটারদের সহানুভূতি বাড়বে কিনা তা স্পষ্ট নয়। কারণ ট্রাম্প ২০১৫ সালে তার প্রথম জাতীয় প্রচারণা শুরু করার পর থেকেই একজন চরম বিভাজন সৃষ্টিকারী ও মেরুকরণকারী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য হয়ে আসছেন।
তিনি নিপীড়নের শিকার এবং তাকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে, ট্রাম্প তার এই ভিত্তিহীন দাবিকেও শক্তিশালী করতে সর্বশেষ ঘটনার ব্যবহার করবেন নিশ্চিত। তবে দ্বিতীয় আপাত হত্যা প্রচেষ্টা প্রথম হত্যাচেষ্টার চেয়ে বেশি রাজনৈতিক প্রভাব ফেলবে কিনা তা এখনই বলা যাচ্ছে না।
শেষ পর্যন্ত, এই অপ্রত্যাশিত এবং বিপজ্জনক প্রচারাভিযানের মওসুমটি কোন দিকে যাবে তা ভোটারদের উপরই নির্ভর করছে।
–সিএনএন