Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে আক্রমণ ট্রাম্পের, পুঁজিবাজার ও ডলারের দরে ফের পতন

dollar
[publishpress_authors_box]

সুদের হার না কমানোয় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধানকে ডোনাল্ড ট্রাম্প কড়া ভাষায় আক্রমণ করার পরপরই আবারও পুঁজিবাজার ও ডলারের মূল্যে ধস নেমেছে।

দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, ২০২২ সালের মার্চের পর সোমবার অন্যান্য মুদ্রার তুলনায় ডলারের মান কমে সর্বনিম্ন স্তরে নামে।

সোশাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলকে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে সুদের হার কমানোর আহ্বান জানান ট্রাম্প।

তিনি অভিযোগ তোলেন, অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রতি সাড়া দিতে ধারাবাহিকভাবে অত্যন্ত ধীরগতিতে কাজ করেছেন পাওয়েল।

যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ‘ব্যর্থ ব্যক্তি’ হিসেবেও ওই পোস্টে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।

পাওয়েলের যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পরিচালনার পদ্ধতি নিয়ে ট্রাম্পের সমালোচনা এমন সময় এসেছে, যখন তার নিজের শুল্ক নীতিই শেয়ারবাজারে পতন ঘটিয়েছে এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ৫০০ কোম্পানির সূচক এসঅ্যান্ডপি ৫০০ সোমবার প্রায় ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। বছরের শুরু থেকে এটি তার মানের প্রায় ১২ শতাংশ হারিয়েছে।

ডাউ জোনস ইন্ডাস্ট্রিয়াল এভারেজ ২ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে এবং বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে।

অন্যদিকে নাসডাক ২ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি কমেছে এবং এ বছরের জানুয়ারি থেকে প্রায় ১৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

মঙ্গলবার এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের বেশিরভাগ প্রধান শেয়ার সূচকের লেনদেনও নিম্নমুখী দেখা গেছে।

জাপানের নিক্কে ২২৫ সূচক প্রায় শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমে বন্ধ হয়। সিডনির এএসএক্স ২০০ সূচক প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে বন্ধ হয়। আর হংকংয়ের হ্যাং সেং সূচক প্রায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে বন্ধ হয়।

এদিন যুক্তরাজ্যের এফটিএসই ১০০ স্টক এক্সচেঞ্জ প্রায় শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ হ্রাস পায়, যেখানে জার্মানির ড্যাক্স প্রায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ এবং ফ্রান্সের সিএসি শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ কমে।

২০২২ সালের পর সোমবার সর্বনিম্ন স্তরে নেমে আসে ডলার সূচক।

মার্কিন ডলার এবং মার্কিন সরকারি বন্ড সাধারণত বাজারের অস্থিরতার সময়ে নিরাপদ সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হলেও সাম্প্রতিক এই গোলযোগ থেকে তারা রেহাই পায়নি।

ডলার সূচক, যা ইউরোসহ একগুচ্ছ মুদ্রার বিপরীতে ডলারের শক্তি পরিমাপ করে, সোমবার ২০২২ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে আসে।

মার্কিন সরকারি ঋণের ওপর সুদের হারও মঙ্গলবার বাড়তে থাকে। কারণ বিনিয়োগকারীরা ট্রেজারি বন্ড ধরে রাখার জন্য বেশি রিটার্ন দাবি করেন।

এদিকে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বিনিয়োগকারীরা ‘নিরাপদ বিনিয়োগ’ খুঁজতে গিয়ে সোনার দিকে ঝুঁকছেন।

এর ফলে সোনার দাম প্রতি আউন্সে সাড়ে ৩ হাজার ডলার ছুঁয়ে নতুন রেকর্ড গড়েছে।

অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে মূল্যবান এই ধাতুকে অর্থ বিনিয়োগের জন্য তুলনামূলকভাবে নিরাপদ স্থান হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত