Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ মার্চ, ২০২৫

ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভকারীদের দমনের হুমকি ট্রাম্পের

Trump_Palestine
[publishpress_authors_box]

ক্ষমতায় এলে যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চলমান ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ দমনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট হবে। এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে গোটা বিশ্ব। কারণ এর উপর নির্ভর করছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের অমীমাংসিত অনেক সমস্যার সমাধান।

তেমনি একটি ইস্যু ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত। এই ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ডেমোক্রেট-রিপাবলিকানরা এক হলেও, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে এই ইস্যুতে নতুন মোড় আসবে, এমনটা বলছেন অনেকে।

সোমবার ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এই মাসের শুরুতে ইহুদি ডোনারদের একটি ছোট গ্রুপের সঙ্গে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প। সেখানেই তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, তিনি ক্ষমতায় আসলে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হবে। এসময় ট্রাম্প দাবি করেন, বিক্ষোভকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে একটি ‘আমূল বিপ্লব’ ঘটানোর চেষ্টা করছে।

প্রতিবেদনটিতে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বৈঠকে উপস্থিত ব্যক্তিদের বরাতে বলা হয়, ট্রাম্প বলেছেন, “আপনারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন, এবং আপনাদের সত্যিই এটি করা উচিৎ, তাহলে আমরা এই আন্দোলনকে ২৫ থেকে ৩০ বছর পিছিয়ে দেব।”

ট্রাম্প এপ্রিলের শেষের দিকে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য নিউ ইয়র্ক পুলিশের প্রশংসাও করেন। অন্যান্য শহরেও একই পদক্ষেপ অনুসরণ করা দরকার বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প।

গত প্রায় দেড় মাস ধরে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ চলছে। গোটা যুক্তরাষ্ট্রে এর প্রভাব পড়েছে।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রধান দাবি, ইসরায়েল সম্পর্কিত কোম্পানি বা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ওপর দমন-পীড়ন চালায়। এখন পর্যন্ত পুলিশ প্রায় ৩ হাজার বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

গত ১৭ এপ্রিল নিউ ইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভ হার্ভার্ড, এমআইটি ও প্রিন্সটনসহ যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৪০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়েছে। দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যের ৪০টি অঙ্গরাজ্যেই বিক্ষোভ হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সীমানা পেরিয়ে বিক্ষোভের ঢেউ লেগেছে ইউরোপসহ বিশ্বের অন্তত ২৫টি দেশে।

সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ৩০ বছরের কম বয়সী আমেরিকানদের অধিকাংশই গাজায় যুদ্ধবিরতি চায়।

১৪ মে নিউইয়র্কে দাতাদের সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প ইসরায়েলের কথিত ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ চালিয়ে যাওয়ার অধিকারের প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করেন এবং ইসরায়েলের প্রতি তার নীতি তুলে ধরেন।

তিনি এর আগে বলেছিলেন, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরায়েল “জনসংযোগ বা প্রচারণা যুদ্ধে হেরে গেছে”।

রক্ষণশীল রেডিও হোস্ট হিউ হিউইটের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, “তারা জনসংযোগ যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে। এটি তাদের একটি বড় হার। তবে তারা যা শুরু করেছে তা শেষ করতে হবে।”

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প নেতানিয়াহুর কথা উল্লেখ করেননি। কারণ অতীতে নেতানিয়াহু ট্রাম্পের বিরোধীতা করে বলেছিলেন, ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেন যথাযথভাবেই নির্বাচিত হয়েছেন। এতে ট্রাম্পের সমর্থক ও রিপাবলিকানরা নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষুব্ধ হয়।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত