কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারির মধ্যে পাঁচ সপ্তাহ পর বুধবার ফের নির্বাচনী সমাবেশে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। হত্যাচেষ্টার পর এই প্রথম কোনও প্রকাশ্য সমাবেশে তাকে দেখা গেল।
জুলাইয়ের ১৩ তারিখে পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের বাটলার শহরে নির্বাচনী সমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় নিকটস্থ একটি ভবনের ছাদ থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ২০ বছর বয়সী টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস।
ক্রুকসের গুলি ট্রাম্পের ডান কান ফুঁড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল। সাবেক প্রেসিডেন্ট সেবার প্রাণে বেঁচে গেলেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে। ট্রাম্পের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ঘাটতি ছিল- ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক পার্টির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন রিপাবলিকান নেতারা।
মৃত্যুকে সেদিন খুব কাছ থেকে দেখলেও একেবারেই দমে যাননি ৭৮ বছর বয়সী রিপাবলিকান এই নেতা। তাকে হত্যাচেষ্টার কয়েকদিন পরেই উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের মিলওয়াকি শহরে রিপাবলিকান পার্টির জাতীয় সম্মেলনে যোগ দেন তিনি। সেই সম্মেলন খোলা প্রান্তরে হয়নি, তারপরও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ত্রুটি ছিল না।
তবে হত্যাচেষ্টার পর বুধবার নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে প্রথম যে জনসমাবেশে ট্রাম্প যোগ দিলেন, সেটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েক হাজার মানুষের এই সমাবেশে সাবেক প্রেসিডেন্টকে ঘিরে ছিল বুলেটপ্রুফ কাচ।
এছাড়া নিরাপত্তার চৌহদ্দির বাইরে সম্ভাব্য সুবিধাজনক অবস্থান থেকে যাতে সমাবেশস্থল দেখা না যায়, সেজন্য আনা হয় বিশাল বিশাল ট্রাক ও কনটেইনার।
পাশাপাশি সমাবেশস্থলের আশপাশের ছাদে মোতায়েন করা হয় বেশ কয়েকজন স্নাইপারকে। ওড়ানো হয় ড্রোন।
সিবিএস নিউজ জানিয়েছে, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনের আগে ট্রাম্প যতগুলো প্রকাশ্য সমাবেশ করবেন, তার সবগুলোতে এমন নিরাপত্তাই থাকবে।
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা বলেছেন, নির্বাচনী সমাবেশ চার দেয়ালের চেয়ে উন্মুক্ত জায়গায় করতে পছন্দ করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট। কারণ এতে অনেক মানুষকে জায়গা দেওয়া যায়।
নর্থ ক্যারোলিনায় নির্বাচনী সমাবেশে বুলেটপ্রুফ কাচ পরিবেষ্টিত হয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় ১৩ জুলাইয়ের হত্যাচেষ্টার ঘটনা উল্লেখ করেননি ট্রাম্প।
যদিও সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা একটু পরপরই ‘লড়াই! লড়াই! লড়াই!’ স্লোগান দিচ্ছিলেন। এই সেই স্লোগান যা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরমুহূর্তেই মুষ্টিবদ্ধ হাত ওপরে তুলে সমর্থকদের উদ্দেশে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।