ওয়াল্ট ডিজনি কোম্পানির মালিকানাধীন এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে করা মানহানি মামলায় জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমঝোতা অনুযায়ী, সংবাদ সংস্থাটি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার পাবেন তিনি।
ট্রাম্পের এই জয়কে অপ্রত্যাশিত হিসেবে দেখছে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক মহল, কারণ সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্টসহ অন্যান্য সংবাদ সংস্থার বিরুদ্ধে তিনি প্রায়শই মানহানি মামলা করে থাকেন এবং যথারীতি হেরে যান।
বিবিসি জানিয়েছে, এ বছরের ১০ মার্চ এক সাক্ষাৎকারে এবিসি নিউজের তারকা উপস্থাপক জর্জ স্টেফানোপোলোস বলেছিলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওঠা ‘ধর্ষণের অভিযোগ’ প্রমাণিত হয়েছে।
এই কথা উপস্থাপক একবার নয়, কয়েকবার বলেন। প্রতিক্রিয়ায় তার ও এবিসি নিউজের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা ঠুকে দেন ট্রাম্প।
সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পকে কেন জর্জ স্টেফানোপোলোস বারবার ধর্ষণের জন্য দায়ী করছিলেন, তার সঙ্গে ২০২৩ সালের একটি ঘটনা জড়িত। সে বছর নিউ ইয়র্কের একটি আদালত ১৯৯৬ সালে যৌন নির্যাতনের এক ঘটনায় ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করে।
অভিযুক্ত নারী ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনলেও আদালতে তিনি তা প্রমাণ করতে পারেননি।
গত বছর মামলার রায়ে নিউ ইয়র্কের ওই আদালতের বিচারক বলেছিলেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তবে তিনি যে বাদীকে যৌন নির্যাতন করেছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।
আদালতের এই রায় সম্পর্কে জেনে বা না জেনে এ বছর সাউথ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান নেতা ন্যান্সি মেইসকে এবিসি নিউজের উপস্থাপক স্টেফানোপোলোস প্রশ্ন করে বসেন, আদালতে বিচারক ও পৃথক দুটি জুরি যেখানে ধর্ষণের দায়ে ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন, সেখানে তাকে তিনি কীভাবে সমর্থন করেন।
শনিবার ট্রাম্পের করা মানহানি মামলায় হেরে যাওয়ার পর এবিসি নিউজ তার দ্বিতীয় মেয়াদের প্রেসিডেন্ট ফাউন্ডেশন ও জাদুঘরে ১৫ মিলিয়ন ডলার দিতে রাজি হয়।
একই সঙ্গে আইনি খরচের জন্য নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে ১ মিলিয়ন ডলার দিতেও রাজি হয় সংবাদ সংস্থাটি।
এছাড়া সমঝোতা অনুযায়ী, এবিসি নিউজ ও তাদের উপস্থাপক স্টেফানোপোলোস ট্রাম্পকে নিয়ে করা ভুল মন্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন।