চলমান বৈশ্বিক যুদ্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচিত হওয়ার প্রভাব কেমন হতে পারে? এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত একটি বিশ্লেষণ করেছেন বিবিসির নিরাপত্তা প্রতিবেদক ফ্রাঙ্ক গার্ডনার।
তিনি যুদ্ধে ইতি টানেন– একথা বলতে যে ট্রাম্প পছন্দ করেন তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন ফ্রাঙ্ক।
সেই সঙ্গে একথাও উল্লেখ করেছেন যে, এবার ক্ষমতায় এসে ট্রাম্প দুটি বড় ধরনের সংঘাতের মুখোমুখি হবেন, যা তার আগের মেয়াদে হতে হয়নি। একটি হলো ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আগ্রাসন, আরেকটি মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের বহুমুখি যুদ্ধ।
তারপর আছে উত্তর কোরিয়া, আছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তাইওয়ানের ওপর চীনের সম্ভাব্য অবরোধ আরোপের বিষয়টিও।
ট্রাম্প ২.০ এসব বিষয় কীভাবে সামলাবেন তা ধারণা করা কঠিন। কারণ এবার তার পাশে অভিজ্ঞ ও সতর্ক সেইসব জেনারেলরা নেই যারা তার আগের মেয়াদে ছিলেন।
অদ্ভুত বিষয় হলো ট্রাম্পের এই অবিমৃষ্যকারী প্রবণতার কারণে কখনও কখনও সুবিধাও পাওয়া যায়। এই প্রবণতার কারণে প্রতিপক্ষকে সবসময় অনুমানের মধ্যে থাকতে হয়।
এর ফলে কি ইউক্রেন নিয়ে কোনও চুক্তির দিকে এগোবেন পুতিন? এর ফলে কিম জং-উন কি ফিরে আসতে পারেন আলোচনার টেবিলে? এর ফলে কি তাইওয়ান দখলের চেষ্টা থেকে বিরত থাকতে পারে চীন? এর ফলে পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্র-সমর্থিত ইসরায়েলি হামলা এড়াতে ইরান কি বাধ্য হবে তার মিলিশিয়াদের নিয়ন্ত্রণে?
অবিমৃষ্যকারিতা- ট্রাম্পের গত মেয়াদের সমার্থক হয়ে ওঠা শব্দটি আবার ফিরে আসছে।