খালেদা জিয়া ভাগ্নে দুর্নীতির দুটি মামলায় দণ্ডিত শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলেও তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠালেন বিচারক।
মঙ্গলবার ঢাকার দুটি জজ আদালতে দুই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনোটিতেই তার জামিন হয়নি।
অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং কার ফাঁকির অভিযোগে মামলা দুটি হয়েছিল ওয়ান-ইলেভেনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে। রায়ও হয় তখনই।
তুহিন তখনই দেশ ছেড়েছিলেন। এরপর আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনামলে আর দেশে ফেরেননি।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতন ঘটলে দেশে ফেরেন তিনি।
তুহিন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় বোন সেলিমা ইসলামের ছেলে। ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি নীলফামারী-১ আসনে বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।
সম্প্রতি দেশে ফেরার পর নীলফামারীতে বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা গিয়েছিল তাকে। মঙ্গলবার দুই মামলায় আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ’র মাধ্যমে ঢাকার আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জামিনের আবেদন করেন তিনি।
প্রথমে কর ফাঁকির মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক জামিন নামঞ্জুর করে তুহিনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর কিছুক্ষণ পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ও একই আদেশ দেন।
কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তুহিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন মামলা দুটি করেছিল ঢাকার গুলশান থানায়।
কর ফাঁকির মামলায় ২০০৮ সালে পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয় তুহিনের। অন্যদিকে অবৈধ সম্পদের মামলায় ২০০৮ সালে তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় আরেক আদালত।
তুহিনকে পলাতক দেখিয়েই এই বিচার হয়েছিল। ফলে তাকে দণ্ড খাটতে হয়নি।