সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি শহরে জেএসএস-ইউপিডিএফের সংঘর্ষের মধ্যে দুই নেত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠে প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৭ আগস্ট) সকালে গণমাধ্যমে এক বিবৃতি পাঠায় জেএসএসের ছাত্র সংগঠন পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন।
এতে বলা হয়, অপহৃত নেত্রীরা হলেন- হিল উইমেন্স ফেডারেশন রাঙামাটি জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুষ্টি চাকমা ও তথ্য ও প্রচার সম্পাদক কাঞ্চনমালা চাকমা।
পিসিপি কেন্দ্রীয় তথ্য প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমার সই করা যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “মঙ্গলবার বেলা আনুমানিক ২টার দিকে ইউপিডিএফ (প্রসিত গ্রুপ) রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গনে গণসমাবেশের ঘোষণা দেয়। এসময় সংগঠনটির সদস্যদের হাতে দেশীয় অস্ত্র, ইট, গুলতি, লাঠিসোটা ছিল।
রাঙামাটি জেলার কাউখালী, ঘাগড়া, কুতুককছড়ি, সাপছড়ি, নান্যচর, বন্ধুকভাঙ্গা প্রভৃতি এলাকা থেকে কয়েক হাজার সাধারণ জনগণকে ‘অস্ত্রের মুখে’ জিম্মি করে ১০টির অধিক জীপ গাড়ি ও ১৫টির অধিক ট্রলার বোট নিয়ে রাঙামাটি শহরে প্রবেশ করতে থাকে।
“শহরে স্থিতিশীলতা রক্ষায় পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুইটি টিম তাদেরকে স্ব-স্ব এলাকায় ফিরে যাওয়ায় আহ্বান জানায়। কিন্তু এ আহ্বান উপেক্ষা করে মানিকছড়ি থেকে শহরে প্রবেশের সময় পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুইটি টিমের ওপর হামলা করা হয়।
“এসময় ‘অস্ত্রের মুখে’ হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দুই নেত্রীকে অপহরণ করা হয়। হামলায় যুব সমিতি, পিসিপি ও হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ২০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হন। এদের মধ্যে ১৭ জন কর্মী রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।”
যৌথ বিবৃতিতে দুই নেত্রীকে অতিদ্রুত নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়।
তবে অপহরণের অভিযোগ করে অস্বীকার করে ইউপিডিএফ মুখপাত্র অংগ্য মারমা বলেন, “আমরা নিজেরা সমাবেশ করতে গিয়ে মার খেলাম। আমাদের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছে। ৮-৯ জন এখনও তাদের হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করতে তারা এমন অভিযোগ করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।”