পদ্মা সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা। এই অর্থ বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছিল অর্থ বিভাগ। সেতু উদ্বোধনের দুই বছরের মাথায় ছয় কিস্তিতে অর্থ বিভাগের ৯৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে সেতু কর্তপক্ষ। চলতি মাসে দুই কিস্তির আরও ৩১৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার বনানীর সেতু ভবনে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের বোর্ড সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
মন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর এ পর্যন্ত ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন পারাপার করেছে। এতে মোট টোল আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৪৮ কোটি টাকার কিছু বেশি। ছয় কিস্তিতে অর্থ বিভাগের ৯৪৮ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। আগামী ২৭শে জুন সপ্তম ও অষ্টম কিস্তি বাবদ ৩১৪ কোটি টাকার চেক গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মাধ্যমে অর্থ বিভাগকে হস্তান্তর করা হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “পদ্মা সেতু থেকে এরই মধ্যে সুফল ভোগ করছে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার প্রায় তিন কোটি মানুষ।”
এসময় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প সম্পর্কেও জানান মন্ত্রী।
এটি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপভিত্তিক (পিপিপি) দেশের বৃহত্তম প্রকল্প জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রকল্পটি হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে শুরু হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৮ হাজার ৯ শত ৪০ কোটি টাকা। প্রকল্পের মূল দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। র্যাম্পসহ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।
এখন পর্যন্ত প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৭৪ দশমিক ৮১ ভাগ বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলটির নেতারা রাজনীতি করছেন বলেও অভিযোগ করেন ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “বিএনপির ফখরুল সাহেবরা অনেক কথা বলেন। কিন্তু তারা খালেদা জিয়ার জন্য একটি দৃশ্যমান আন্দোলনও করতে পারেননি। লিগ্যাল ব্যাটলকে প্রলম্বিত করে তারা মামলার বিষয়টিকে এত দূর নিয়ে এসেছেন। সত্যি কথা বললে, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তারা রাজনীতি করছেন।”