শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় পদ্মা নদীতে দুটি স্পিডবোটের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কাঁচিকাটা-দুলারচরের মাঝামাঝি এলাকায় পদ্মা নদীতে এই দুর্ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তিনজন ম্যাজিস্টেটসহ ১০ জন আহত হয়েছে। তারা কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন শেষে ফিরছিলেন।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত মোক্তার হোসেন গাজী ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। তিনি ভেদরগঞ্জ উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়নের মোল্লাকান্দি এলাকার মোহাম্মদ বাচ্চুর ছেলে।
আহতদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সাধারণ শাখা ও জেনারেল সার্টিফিকেট শাখা) বাসিত সাত্তার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (শিক্ষা ও কল্যাণ, ফরমস অ্যান্ড স্টেশনারি এবং প্রবাসী কল্যাণ শাখা) আব্দুলাহ আল মামুন, ভেদরগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনামুল হাফিজ নাদিম, অফিস সহায়ক জুয়েল পাল, হুমায়ুন কবির ও স্পিডবোটের সহকারী মো. সাইফুল ইসলামের নাম পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বাসিত সাত্তার ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচনের কাজ শেষ করে আমাদের কর্মকর্তা ও কয়েকজন অফিস সহকারী ফিরছিলেন। তারা ঘাটের কাছে পৌঁছানোর আগে একটি স্পিডবোট তাদের ওপর উঠিয়ে দেওয়া হয়। আমাদের তিন কর্মকর্তাসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। অন্য বোটের কেউ হতাহত হয়েছেন কি না, তা এখনও জানতে পারিনি। আমাদের আহত দুই জন কর্মকর্তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে।”
ভেদরগঞ্জের সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান বলেন, “দুটি স্পিডবোটের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। কারা স্পিডবোট চালাচ্ছিলেন, আর কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তদন্ত করা হবে।”
শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নিজাম উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, “কাঁচিকাটা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পদ্মা নদীর ওপারে সাতটি কেন্দ্র রয়েছে। সেখানে দায়িত্ব পালন করতে আমাদের তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গিয়েছিলেন। সেখান থেকে রাতে ফেরার পথে দুটি স্পিডবোটের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।”
তিনি বলেন, “সংঘর্ষে তিনজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ স্পিডবোটে থাকা ১০ জন আহত হয়। অপর স্পিডবোটে থাকা একজন নিহত হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।”