Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৮ মে, ২০২৫

যুব ক্রিকেটারদের দারুণ সুযোগ

তামিম, আবরার, ইমন ও ফাহাদ; যুব এশিয়া কাপ জয়ী চার ক্রিকেটার খেলবেন বিপিএলে। ছবি : সংগৃহীত
তামিম, আবরার, ইমন ও ফাহাদ; যুব এশিয়া কাপ জয়ী চার ক্রিকেটার খেলবেন বিপিএলে। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

পরপর তিনটি টুর্নামেন্ট, সবগুলোই ভালো মানের। নিজেদের চেনানোর এমন সুযোগের স্বপ্ন অনেক ক্রিকেটারই দেখেন। কিন্তু স্বপ্ন বাস্তব হয় ক’জনের! আজিজুল হাকিম তামিম, আবরার জাওয়াদ, ইকবাল হোসেন ইমন ও আল ফাহাদরা সেই তালিকায় যাদের স্বপ্ন বাস্তব হয়েছে।

গত মাসে যুব দলের হয়ে এশিয়া কাপ খেলেছেন তারা। আন্তর্জাতিক মানের আসরে শিরোপাও জিতেছেন। ওই আসরে পর ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন টুর্নামেন্ট জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলেছেন উপরের চারজন। দেশের জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেটারদের মাঝে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছে এই যুবাদের।  

এরপর বিপিএলে খেলার অপেক্ষা। দেশের সেরা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলে ছোট বয়সেই “বড় আসরে”-র অভিজ্ঞতা আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। ইতিমধ্যে আজিজুল হাকিমকে দলে নিয়েছেন রংপুর রাইডার্স। অলরাউন্ডার ইকবাল হোসেন ইমনকে নিয়েছে ফরচুন বরিশাল।

সিলেট স্ট্রাইকার্স দলে নিয়েছে ব্যাটার আবরার জাওয়াদকে। শুক্রবার রাতে নিজেদের ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে দলটি। একই ভাবে পেসার আল ফাহাদকে দলে নেওয়ার ইচ্ছা দেখানো সিলেট চূড়ান্ত ঘোষণার অপেক্ষায়।

জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিতে খেলা এই ক্রিকেটারদের বড় মঞ্চে খেলার পথ তৈরি করেছে বলে মনে করেন নির্বাচক হান্নান সরকার। সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, “এটা অবশ্যই ওদের জন্য ভালো সুযোগ। জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টিটা ওদের পথ খুলে দিয়েছে। ওখানে ওদের খেলা দেখে সবাই বিশ্বাস করেছে যে ওরা টি-টোয়েন্টিতে বড় মঞ্চে খেলতে পারে।”

স্বাভাবিক ভাবে যুব দল থেকে বোলাররা বড় টুর্নামেন্টে আগে সুযোগ পান। ব্যাটাররা ডাক পান পরে। এবার একটু ব্যতিক্রম হয়েছে যুব দলের বেলায়। আজিজুল হাকিম তামিম ও আবরার জাওয়াদ যুব দলের ব্যাটিং অর্ডারের দুজন এবার সুযোগ পাচ্ছেন দুটি বড় আসরে। এছাড়া ইমন বোলিং অলরাউন্ডার হলেও ব্যাটিংয়েও এই তরুণ সিদ্ধহস্ত।

দুই ব্যাটারের সুযোগ পাওয়াকে ভালো দিক হিসেবে উল্লেখ করলেন নির্বাচক হান্নান, “যুব দলে যে ক্রিকেটাররা খেলে ওদের মধ্যে পেসারদের ওপর ধারণা করা সহজ হয়। কিন্তু ব্যাটিং তো অনেক টেকনিক ও ট্যাকটিক্যাল বিষয়। তাই যুব টুর্নামেন্ট খেলা ব্যাটারদের যাচাই করা হয়না। এবার টি-টোয়েন্টি লিগটা হওয়াতে ওদেরও যাচাই করার ‍সুযোগ হয়েছে। এই (এনসিএল টি-২০) আসরে কিন্তু আমাদের ভালো বোলাররা খেলেছেন। তাদের বিপক্ষে যেহেতু রান করেছে তাই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ওদের দলে নেওয়ার চিন্তা করেছে।”

মূলত যুব এশিয়া কাপের পারফর্ম্যান্স দেখে বিপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো এই ক্রিকেটারদের নেওয়ার আগ্রহ দেখায় বিসিবি গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগের কাছে। ঘরোয়া সেরা টুর্নামেন্ট হওয়ায় বিসিবি থেকেও বাধা দেওয়ার কিছু নেই।

এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট জুড়েই খুব ভালো খেলেছেন যুব অধিনায়ক তামিম। খুলনা বিভাগের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলে ২৩৭ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি আছে দুটি। পেস অলরাউন্ডার ইমন ঢাকা বিভাগের হয়ে ছয় ম্যাচ খেলে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন। রাজশাহী বিপক্ষে এক ম্যাচে ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট।

ঢাকা বিভাগে খেলেছেন ওপেনার জাওয়াদও। তিন ম্যাচ খেলা জাওয়াদের ইনিংসগুলো হলো ১১, ৬২ ও ৩২ রানের। ঢাকা মেট্রোতে খেলা আল ফাহাদ ম্যাচ পেয়েছেন একটি।

এবার বিপিএলের মঞ্চে সুযোগ পেয়ে নিজেদের মেলে ধরার পালা এই তরুণদের।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত