ঘরের মাঠে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হারের গ্লানি এখনও তাজা। বড়দের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৬ উইকেটে হেরেছিল ভারত। সেই দুঃখ ভুলিয়ে দেয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল ছোটদের। চ্যালেঞ্জ জেতা হয়নি, উল্টো অস্ট্রেলিয়ার কাছে আবারও হেরে যাওয়ার লজ্জা জুটেছে ভারতের। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের ব্যাবধানটা আরও বেশি ৭৯ রানের।
ফাইনালে নামার আগেই শিরোপা জয়ের তোড়জোড় ছিল ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দলের। যুব বিশ্বকাপ জয়ের সম্ভাবনা সামনে রেখে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমও ছিল মুখর। ২০২৩ বিশ্বকাপে বড়দের ব্যর্থতা ভারত ভুলতে চেয়েছিল তরুণদের সাফল্যে। প্রত্যাশা মতো কিছুই হয়নি। বড়-ছোট সব বিভাগেই পরপর দুই ফাইনালে অজিদের কাছে হারল ভারত।
রোববারের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দল ৭৯ রানে হারিয়ে দিয়েছে ভারতকে। নীল জার্সিধারিদের নীল বেদনায় ভাসিয়ে চতুর্থ যুব বিশ্বকাপ জিতে নিল হলুদরা। আগে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়ার ৭ উইকেটে ২৫৩ রানের জবাবে ভারত ১৭৪ রানে অলআউট হয়।
১৯৮৮ সালে যুব বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন ছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ সালে সবশেষবার এই শিরোপা জিতেছিল তারা। অজি তরুণরা ১৪ বছরের লম্বা অপেক্ষা শেষ করল ভারতকে হারিয়ে।
গত তিন যুব বিশ্বকাপে দুবারই (২০১৮ ও ২০২২) শিরোপা জিতে ভারত। মাঝে ২০২০ সালে ভারতকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসির বড় কোন টুর্নামেন্ট জিতেছিল বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার পিচে পরে ব্যাট করা সবসময়ই কঠিন। বেনোনিতে এবারের ফাইনালে তাই টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করেননি অজি অধিনায়ক হিউ ওয়েবজেন। পরে ব্যাটারদের একবদ্ধ পারফরম্যান্সে আড়াইশো ছাড়ানো দারুণ পুঁজি গড়ে তারা।
অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন একজন ভারতীয় বংশোদ্ভুত। হারজাস সিং ৬৪ বলে ৩টি করে ছক্কা ও চারে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া ওপেনার হ্যারি ডিক্সন ৪২, অধিনায়ক ওয়েবজেন ৪৮ ও লোয়ার অর্ডারে অলিভার পিকি ৪৩ বলে ৪৬ রানের কার্যকর ইনিংস খেলেন।
রান তাড়ায় নেমে অজি পেসারদের বল সামলে উঠতে পারেনি ভারত ব্যাটাররা। ক্যালাম ভিডলার ৩৫ রানে ২টি ও মাহলি বিয়ার্ডম্যান মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনে ধ্বস নামান। এই উৎসবে ৩ উইকেট নিয়ে যোগ দেন অফস্পিনার ম্যাকমিলান।
হেরে যাওয়া ফাইনালে ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন ওপেনার আদর্শ সিং। এছাড়া লোয়ার অর্ডারে মুরুগান অভিষেক করেন ৪২ রান। ১১ ব্যাটারের মধ্যে ৭ ব্যাটারই দুঅঙ্কের ঘরে রান তোলার আগে সাজঘরে ফিরেছেন।
চলদিত মৌসুমে তাই ভারত যুব দলের হতাশায় কাটল। এর আগে এশিয়া কাপ শিরোপা হারিয়েছে দলটি। সেবার বাংলাদেশ যুব দলের কাছে ফাইনালে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়। এবার যুব বিশ্বকাপে একেবারে ফাইনালে এসে ট্রফি হারানোর বেদনা দলটির।