বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশ দূতাবাস।
দূতাবাসের ফেরিফায়েড ফেইসবুক পেইজে মঙ্গলবার দেওয়া এক পোস্টে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, “ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছে। আমরা বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘু এবং ধর্মীয় স্থাপনাগুলোতে হামলার খবরে উদ্বিগ্ন।”
বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন অব্যাহত থাকবে জানিয়ে পোস্টে বলা হয়, “বাংলাদেশি জনগণের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষা এবং মানবাধিকারের প্রতি সম্মান বজায় রাখার জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখবে।”
দূতাবাসের ফেইসবুক পোস্টে ইউএসএইডের প্রশাসক সামান্থা পাওয়ারের একটি এক্স পোস্টের স্ক্রিনশট সংযুক্ত করা হয়।
ওই পোস্টে সামান্থা পাওয়ার লিখেছেন, “বাংলাদেশে সকল পক্ষের জন্য গণতান্ত্রিক নীতি, আইনের শাসন ও জনগণের চাওয়াকে সমুন্নত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা ও মানবাধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে সোমবার বিদেশ চলে যাওয়ার পর সরকারশূন্য অবস্থায় অরাজকতা চলছে বাংলাদেশে।
সেদিন উল্লসিত জনতা গণভবন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, সংসদ ভবনেও অবাধে ঢুকে পড়ে তছনছ করে। পাশাপাশি দেশের অনেক স্থানে আওয়ামী লীগ কার্যালয় ও দলটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ভবনের পাশাপাশি পুলিশের থানাগুলোতেও আগুন দেওয়া হয়।
গত এক মাসে সরকারের দমন অভিযানে ৫ শতাধিক মানুষ নিহতের জন্য পুলিশ ছিল ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু। সেই কারণে পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। সড়কে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরাও অনুপস্থিত।
এমন পরিস্থিতিতে কারফিউ তুলে নিয়ে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত খুলে দেওয়া হয় মঙ্গলবার। এতে অফিস বা স্কুলগামী যাত্রীদের উৎকণ্ঠা, উদ্বেগ নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে ঢাকার বিভিন্ন ব্যস্ত সড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের।