এবারের বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমকের নাম উগান্ডা। বাছাই পর্বে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপে পৌঁছেছে তারা। আফ্রিকা মহাদেশের দারিদ্রে জর্জরিত এই দেশ বিশ্বকাপটা স্মরণীয় করল পাপুয়া নিউ গিনিকে ৩ উইকেটে হারিয়ে। পিএনজির ৭৭ রানের চ্যালেঞ্জ ৭ উইকেট হারিয়ে ১০ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় র্যাঙ্কিংয়ে ২২ নম্বরে থাকা উগান্ডা। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পাওয়াটা ঐতিহাসিক তাদের জন্য।
এবারের আইপিএলে ৩০০ ছুঁই ছুঁই ইনিংস খেলেছে হায়দরাবাদ। তাছাড়া আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে গত এশিয়ান গেমসে ৩০০ ছাড়ানো ইনিংস খেলেছে নেপাল। সেখানে বিশ্বকাপে পাপুয়া নিউ গিনি-উগান্ডা মিলে করল ১৫৫ রান। এত অল্প রানের ম্যাচটাও ছিল টানটান উত্তেজনার। জিততে পারত পিএনজিও। তবে শেষ হাসিটা উগান্ডার।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে ওভারপ্রতি সবচেয়ে কম রান উঠেছে এই ম্যাচে, ৪.১৩ রেটে। এর আগে ওভারপ্রতি সর্বনিম্ন রান ছিল শ্রীলঙ্কা -দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে এবারের বিশ্বকাপেই।
শুরুতে ব্যাট করে পাপুয়া নিউগিনি গুটিয়ে যায় মাত্র ৭৭ রানে। বিশ্বকাপে আইসিসির সহযোগী দুই দেশের খেলায় যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। ২০১৪ বিশ্বকাপে নেপালের বিপক্ষে ৬৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল হংকং, যা এতদিন ছিল সর্বনিম্ন। জবাবে নড়বড়ে শুরু হলেও উগান্ডা ম্যাচ জিতে পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া রিয়াজাত আলি শাহর দৃঢ়তায়। একটা প্রান্ত আগলে তিনি খেলেন ৫৬ বলে ৩৩ রানের ইনিংস।
উগান্ডার এই জয়ের বড় কৃতিত্ব তাদের বোলারদের। চার-ছক্কার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোনও দলকে ১০০ রানের কমে আটকে রাখাটাই কৃতিত্বের। সেখানে পাপুয়া নিউ গিনিকে তারা অলআউট করে ৭৭ রানে।
২টি করে উইকেট আলপেশ রামজানি,কসমাস কেউটা, জুমা মিয়াগি ও ফ্রাঙ্ক এনসুবুগুর। ৪৩ বছরের এনসুবুগার আলো ছড়িয়েছেন ৪ ওভারে ৪ রানে ২ উইকেট নিয়ে। পিএনজির হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৫ রান হিরি হিরির।
জবাবে ৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে উগান্ডা। স্কোরটা এক সময় হয়েছিল ৫ উইকেটে ২৫ রান। সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে তাদের জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন রিয়াজাত আলি শাহ। ৫৬ বলে ১ বাউন্ডারিতে ৩৩ রান করেন তিনি।
পিএনজিকে ডুবিয়েছে ১৫টা ওয়াইড। এত অল্প রানের ম্যাচে ১৫ ওয়াইড রীতিমতো অপরাধ। ২টি করে উইকেট নরমান ভানুয়া ও আলেই নাওয়ের।